চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এবার থানায় জিডি(সাধারণ ডায়েরি) করেছেন অনন্ত চৌধুরী নামে এক শিক্ষক। জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় তিনি এ জিডি করেন।
জিডি’র বিষয়ে শিক্ষক অনন্ত চৌধুরী জানান,প্রায় ২০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমে বাগান করেছেন। এবার বাগানে আমের ফলন ভালো হয়েছে, আমও পাকতে শুরু করেছে। আমগুলো বাজারজাত করার সময় এলে বাগানে হানা দিতে শুরু করেছে বন্যহাতি। দুইদিন ধরে চলা বন্যহাতির তান্ডবে তার বাগানের অধিকাংশ আম গাছ উপড়ে ফেলে এবং আম খেয়ে সাবাড় করেছে। বন্যহাতিগুলো প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাই বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে থানায় জিডি করেছেন তিনি। জানা যায়,উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের বড়খোলা এলাকায় আশেপাশের অনেকের বাগানে হানা দিচ্ছে। প্রায়শই হাতির কবলে পড়ছে মানুষ। গত কয়েকদিন আগেও হাতির হামলায় নারিশ্চা এলাকায় এক কৃষক মারা গেছেন। এভাবে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন হাতির আক্রমণে। মানুষের ঘরবাড়ি নষ্ট করে দিচ্ছে তারা যার ফলশ্রুতিতে শত শত একর ফসলি জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। এভাবে হাতি অত্যাচার চালালে আমাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।” জিডি’র বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওবাইদুল ইসলাম। কৃষক ও এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন,বিষয়টি তদারকি করে প্রয়োজনে তার ফসলহানির ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করব। হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন ও মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত কাজ করছে বন বিভাগ এবং হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ক্ষতিপূরণও দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।সম্প্রতি হাতির আক্রমণে শস্যক্ষেতে হাতির আক্রমনের ঘটনায় ১১ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।