আজ ( ২ জুলাই) বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি উদযাপিত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার (এআইপিএস) অনুমোদিত সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি দিবসটি পালন করে থাকে। ১৯২৪ সালের ২রা জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবসের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে ক্রীড়া সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে আজকের এই দিনটি পালন করা হয়। ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশসহ প্রায় ১৬৭টি দেশ এই ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছে।
আধুনিক বিশ্বে ক্রীড়া সাংবাদিকতা এখন নতুন মাত্রা পেয়েছে। ফলে যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ক্রীড়া সাংবাদিকতার গুরুত্ব, পাশাপাশি বাড়ছে এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সামাজিক ও বৈষয়িক মর্যাদা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষেত্র অনেকটা সীমিত থাকায় ক্রীড়া সাংবাদিকতার পরিধিও সীমিত ছিল।
ফলে তখনকার প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিকের পাতায় কিছুটা হলেও খেলার খবর প্রকাশ পেত। খেলাধুলার সংবাদের জন্য আলাদা কোন ডেস্ক কিংবা রিপোর্টার ছিল না। অন্য খবরের পাশাপাশি আগ্রহীদের দিয়েই এ সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ ও প্রকাশের ব্যবস্থা হত। এরই অংশ হিসেবে ১৯৬২ সালে গঠিত হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান ক্রীড়ালেখক সমিতি’। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জন্ম নেয় ‘বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি’।
স্বাধীন বাংলাদেশে অন্যসব কিছুর মত ক্রমেই বিকশিত হয় সংবাদ মাধ্যম ও ক্রীড়াঙ্গন। তবে নব্বইয়ের দশকে পাশাপাশি মিডিয়া এবং খেলাধুলা দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক বিপ্লব ঘটে। এখন বেশিরভাগ দৈনিক পত্রিকায় খেলাধুলার সংবাদের জন্য পূর্ণপৃষ্ঠা বরাদ্ধ থাকে। কোথাও কোথাও একাধিক পৃষ্ঠা বরাদ্দ থাকে। টিভি চ্যানেলগুলোর কল্যাণে ক্রীড়া সাংবাদিকতা পেয়েছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতিও তার দৃষ্টি দেয় দেশের বাইরে। ফলে যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ক্রীড়া সাংবাদিকতার গুরুত্ব, পাশাপাশি বাড়ছে এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সামাজিক ও বৈষয়িক মর্যাদা।