সরওয়ার কামাল,মহেশখালীঃ
মহেশখালী-কক্সবাজারে অবিলম্বে শুরু হবে ফেরী চলাচল। জাতীয় সংসদের ১৮ তম অধিবেশনে কুতুবদিয়া-মহেশখালী সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের দাবির প্রেক্ষিতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বাজেট বক্তৃতায় বলেন কক্সবাজার- ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক যে যৌক্তিক দাবি ফেরীর বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন হবে। মহেশখালীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে তা আরও বেগবান করতে এই সিদ্ধান্ত। জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন এটি মহেশখালী বাসির আরেকটি স্বপ্ন পূরণ। এটি মহেশখালী বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমরা চাই ফেরি চলাচলের পাশাপাশি মহেশখালী-কুতুবদিয়া এবং মহেশখালী-কক্সবাজারে টানেল নির্মাণ এবং সেতু নির্মাণ। এতে কক্সবাজার জেলা একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত হবে। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে মহেশখালীতে ফেরি চলাচলের দাবি করে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি আরো বলেন এমন সিদ্ধান্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই সেতু নির্মাণের কারণে কক্সবাজারের চিংড়িপোনা সহজেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছবে’। পরিবহন খরচ অনেকাংশে কমে যাবে। যার ফলে দেশে উৎপাদন আরো বাড়বে। একইসাথে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সমর্থ হবে।
এদিকে জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মহেশখালী কক্সবাজার ফেরি চলাচলের কার্যক্রম অবিলম্বে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর মহেশখালীর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার জানান এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। মাননীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এ ব্যাপারে ব্যাপক তৎপরতা চালানোর কারণে এখন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফেরী চলাচল শুরু হলে মহেশখালীর গুরুত্ব আরো অনেক বেড়ে যাবে। পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণীয় উপজেলায় পরিণত হবে মহেশখালী।
মহেশখালী আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি ও হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শান্তি লাল নন্দী জানিয়েছেন এটি মহেশখালীবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেরি চলাচল শুরু হলে মহেশখালী বাসী কে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হবে না। কক্সবাজার সদরের সাথে যোগাযোগ আরো সহজ হবে। তবে মাননীয় সংসদ সদস্যের জাতীয় সংসদে মহেশখালী কক্সবাজার সেতু কিংবা টানেল নির্মাণের দাবি অত্যন্ত যুক্তিক। ইতিমধ্যে মহেশখালীতে একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে মহেশখালীর প্রধান সড়ক ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পর্যটকরা সহজেই গাড়ি নিয়ে মহেশখালীতে প্রবেশ করতে পারবে।শাপলাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সামিদুল ইসলাম জানিয়েছেন এটি আমাদের জন্য খুবই সুখবর। আশেক উল্লাহ রফিক এমপির যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমরা একের পর এক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। মহেশখালী কক্সবাজার ফেরী চলাচলের বিষয়টি তারই একটি অংশ। আশা করি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।