রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায় আগামী ২ জুলাই শনিবার থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, চলবে ২৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত। বরকল উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে (সুবলং, বরকল, আইমাছড়া, ভূষণছড়া, বড় হরিণা) প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষকরা তথ্য সংগ্রহের করবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক ত্রিনয়ণ চাকমা।
তিনি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে বরকল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে তথ্য সংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচীতে যারা কাজ করেছেন এবারেও তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে অন্যত্র বদলী হয়েছেন তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে।
বরকল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি কিংবা তার পূর্বে যাদের জন্ম এবং যারা ইতিপূর্বে ভোটার নিবন্ধন করেননি কেবল মাত্র তারাই ভোটার হতে পারবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে হালনাগাদে। নতুন ভোটার নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলাদি- অনলাইন বাংলা জন্ম নিবন্ধন, অনলাইন ইংরেজি জন্মনিবন্ধন (শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণির নিচে হলে), শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, রঙিন ছবিযুক্ত চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব/জাতীয়তা সনদ, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, (ভাই/বোন/চাচা/ফুফু) আপন ৩ জনের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, জমির দলিল/খতিয়ান/জমাবন্দি. বায়না নামা. বাজার ফান্ডের খাজনা কপি (স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে আবশ্যক), বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রী পরিচয়পত্র (আবশ্যক), প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট (আবশ্যক), ভূমি অফিস কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র (ভূমির দলিল ও ভূমিহীন), রোহিঙ্গা নয় মর্মে চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র আরও জানায়, ভাই/বোন/চাচা/ফুফু না থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র (নির্ধারিত অফিসিয়াল প্যাডে স্মারক নম্বর উল্লেখ পূর্বক)। স্থায়ী ঠিকানার দলিলাদি না থাকলে হেডম্যান কর্তৃক স্থায়ী ঠিকানার স্বাপেক্ষে প্রত্যয়নপত্র (নির্ধারিত অফিসিয়াল প্যাডে স্মারক নম্বর উল্লেখ পূর্বক)। ভোটার তালিকা হতে মৃত ব্যক্তির তথ্য বাতিল করতে অবশ্যই মৃত ব্যক্তির অনলাইন মৃত্যু নিবন্ধন সনদ বা চেয়ারম্যান/হেডম্যান কর্তৃক নির্ধারিত অফিসিয়াল প্যাডে স্মারক নম্বর উল্লেখ করে প্রত্যয়নপত্র।
এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদে একাধিক বার ভোটার হওয়া এবং ভূল অথবা মিথ্যা তথ্য প্রদান করা দন্ডণীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়।
এক্ষেত্রে নিবন্ধন কেন্দ্রে নাগরিকের তথ্য কম্পোজ ও প্রুফের পর তার একটি প্রিন্ট দেওয়া হবে। নাগরিক সেই তথ্য যাচাই ও সই দিয়ে ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটরের কাছে জমা দেবেন। নাগরিকের অন্যান্য দলিলাদির সঙ্গে এই ডকুমেন্টও ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে।