মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার এবং হয়রানি মামলার প্রতিবাদে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এক প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেন কলেজ রোডের বাসিন্দা মোঃ আজহার চৌধুরীর ছেলে মোঃ আশফাক চৌধুরী রিয়াম (৩২) তিনি উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে আরো উল্লেখ করেন আমার পরিবার শ্রীমঙ্গল শহরের বিগত ৪০ বছর যাবত সুনামের সাথে বসবাস করে আসছি। গত ২০১২ সালে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করি এবং ২০১৬ সালে পড়াশোনা শেষ করে দেশে আসি। দেশে ফিরে এসে আমার নিজস্ব মূলধন দিয়ে চায়ের ব্যবসার সাথে জড়িত হই। এমতাবস্থায় চায়ের ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮সালে আমার সাথে ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে যোগাযোগ করেন ঢাকার ধানমন্ডি এর ১৭৮ নং বাড়ির বাসিন্দা আজগর আলীর মেয়ে আফরোজা আক্তার পাপিয়া (৩২) উনার সাথে এশিয়ান বাংলা ফুড এন্ড প্রোডাক্টস্ নামে একসাথে ব্যবসা পরিচালনা করে গত ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লাভের অংশ ভাগাভাগি করি। পরিশেষে ২০২০ সালের মে মাসে উভয়েই অংশীদারের ব্যবসা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন হয়। উক্ত সালিশি বৈঠকে উভয় পক্ষের সমঝোতার লক্ষ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুর হক, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (সাবেক) আব্দুস সালেক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদ রহমান সাজু, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আমির হোসেন, আমজাদ হোসেন বাচ্চু, দেওয়ান তাজুল ইসলাম, আল আমিন, মিল্লাদ হোসেন সহ প্রমুখ।
উক্ত সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একটি দলিল লিপিবদ্ধ হয়। এতে উল্লেখ ছিল যে আমি আশফাক চৌধুরীর রিয়াম মোট ২৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করব। উক্ত বিচারকগণের রায় মেনে নিয়ে আমি গত ১২-১০-২০২০ তারিখে ৫ লক্ষ টাকা উক্ত সালিশের বিচারকগণের উপস্থিতিতে পরিশোধ করি এবং ২০-১১-২০২০ তারিখে আরও ৭ লক্ষ টাকা যার চেক নাম্বার E0103554 পরিশোধ করি এন.সি.সি. ব্যাংক শ্রীমঙ্গল শাখার মাধ্যমে। পরবর্তীতে অবশিষ্ট ১২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার সময়ে দেশে আবারো মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেরি হয়। কিন্তু এই বকেয়া ১২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে আমি কখনো অস্বীকার করিনি। এমতাবস্থায় মহামারীর কারণে অবশিষ্ট ১২লক্ষ টাকার চেকের তারিখ অনুযায়ী দিতে বিলম্ব হলে আফরোজা আক্তার পাপিয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। আর মামলা নং ১৪০/২১ যা এখনো চলমান N-9 Act ১৩৮ ধারায়। পরে আফরোজা আক্তার পাপিয়া আবারো ৬-৪-২০২২ তারিখে ঢাকা বিমানবন্দর থানায় উক্ত বিষয়ে আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে একটি কুচক্রী মহলের সাথে জড়িত হয়ে আফরোজা আক্তার পাপিয়া ভুল ঠিকানা দিয়ে আমার নামে সমন জারি করে প্রতিহিংসা করে এরেস্ট ওয়ারেন্ট বের করে যা খুবই দুঃখজনক। পরবর্তীতে মহামান্য আদালত বিবেচনা করে আমার জামিন মঞ্জুর করেন। পরিশেষে আমি বলতে চাই এই কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি সহকারে এক কোটি টাকা আত্মসাত করেছি বলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে যার আদৌ কোনো প্রমাণ নেই। যারা এই নেক্কার জনক এবং মিথ্যা মামলার পক্ষে আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে অতিশিগ্রই আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি আপনাদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনসহ সকল বিবেকবান ব্যক্তিদের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন।
আফরোজা আক্তার পাপিয়া আপনার প্রতি এতো ক্ষিপ্ত কেনো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আসফাক চৌধুরী রিয়াম বলেন, আসলে উনার সাথে শুধু আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না তার সাথে সাথে ছিল একটি সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যা অল্পদিনে অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেই এই সম্পর্কটাকে একটি সুন্দর নাম দেবো। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে আমি জানতে পারি আফরোজা আক্তার পাপিয়া কেবলমাত্র আমার সাথে সম্পর্ক নয় ইতিপূর্বে অনেকের সাথেই তার এরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং ছিলো। আর এই পরিপেক্ষিতে আমি আমার পরিবারকে অন্যত্র পাত্রী দেখতে বলি এ খবর জানতে পেরে সে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। তাই আমি এমন হুমকির পর তার সাথে সকল ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করি। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে উনি ও একটি কুচক্রী মহল আমার সম্মানহানির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আমি আশংকা করছি এই রকম আরো নানাবিধ অপপ্রচার চালাবেন আমার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে উক্ত সালিশের বিচারকগণের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উনারা আমাদের জানান আমরা এই বিষয়ে অবগত আছি। এবং আশফাক চৌধুরী রিয়াম ঐ দিনের সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করছিলেন। সিদ্ধান্ত পালনে এতে তার কোন প্রকার গাফিলতি ছিলো না।