মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:- খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার খাড়িছড়া এলাকা থেকে মো. আবদুল কাদেরের (৪৫) নিখোঁজ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। ফলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চা শ্রমিক পরিবহন ঠিকাদার উদ্ধারের দাবীতে উপজেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। মানববন্ধন থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যে কাদেরকে উদ্ধারে প্রশাসন ব্যর্থ হলে নাগরিক পরিষদ আবারও কঠোর কর্মসূচী নিয়ে মাঠে আসার হুশিয়ারী দিয়েছেন।
শুক্রবার ৮ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৪টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের আমতল তিন রাস্তা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্থায়ী কমিটি সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের, সংগঠনের আইন সম্পাদক (কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মর্যাদা) ও লিগ্যাল কমিটির সদস্য সচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মো. আলম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মো.আবদুল মজিদ, মাটিরাংগা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো.মোকতাদের হোসেন বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাহাড় অশান্ত করছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির অস্ত্রধারী সংগঠনগুলো। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা ওদের দোসর। এদের মধ্যে ইউপিডিএফের (প্রসীত)একটি শক্তিশালী সশস্ত্র গ্রুপ। এ অঞ্চলে শক্তঘাঁটি বানিয়ে নিরীহ বাঙ্গালীদের গুম, খুন ও অপহরণ করছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অর্থবিত্ত ও রাজনৈতিক চেষ্টায় ছাড়া পেলেও অনেকেরই নেই হদিস। পাহাড়ের একের পর বাঙ্গালী অপহরণে মনে হচ্ছে এরা মানুষ নয়। অবৈধ সশস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরাই পাহাড়ের রাজা। যদি তাই না হয় তাহলে একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কেন সশস্ত্র ও দেশদ্রোহীদের হাতে অপহৃত হতে হবে? এর দায়-দায়িত্ব কার? প্রশাসন এর জবাব দিতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় আনা আজ সময়ের দাবী। এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় না এনে সরকার তামাশা দেখছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাদেরকে অক্ষত অবস্থা ফেরত দিতে হবে। না হলে কঠোর কর্মসূচী নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ মাঠে আসবে।।