কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলাী ক্যাম্প সংলগ্ন বাজারে ওয়ারিশী সম্পত্তির মালিকানা বিরোধের জেরে প্রায় ৮০টি দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মালিকানা নিয়ে উক্ত দোকানগৃহ এক পক্ষ বন্ধ করে দিলেও দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযাগ তুলেছে।জমির মালিকানা বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রশি টানাটানি চললেও দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ায় ভাড়াটিয়া দোকানদাররা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
২২ মার্চ সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,বর্তমান দখলে থাকা প্রায় ৮০টি স্থীত দোকানগৃহের জমির মালিকানা দাবীদার পালংখালী ইউপির পশ্চিম ফারির বিল এলাকার মৃত আবুল কাসেমের ছেলে জসিম উদ্দিন কালু ও মোঃ ইব্রাহীম পুইত্যা জানান,বংশ পরম্পরায় দখলীয় এসব জমি ওয়ারিশান সুত্রে প্রাপ্ত,উক্ত জমি গত ৬ বছর পূর্বে পরিমাপ করে যে যার প্রাপ্ত জমিতে ক্ষেতখামার ও চাষাবাদ করে আসছিলেন।২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আগমনের পর এসব জমি রোহিঙ্গাদের ফেলা বর্জ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।উক্ত জমির অংশে গত সাড়ে ৪ বছর পূর্বে দোকান গৃহ নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল আমলে আছেন।এরই মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যায় ৫ নং ওয়ার্ডের জামতলী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে আবু রাসেল ও ছৈয়দ হোছাইনের ছেলে মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বে মিজবাহ,মুছা,সরওয়ার সহ ১৫/২০ জনের দুর্বৃত্ত উক্ত জমির উপর নির্মিত ভাড়াটিয়া দোকানদারদের নিকট গিয়ে উক্ত জমি তারা কিনেছেন,দখল ছেড়ে দাও,অন্যথায় পরিণতি খারাপ হবে বলে হাকাবকা করে দোকান ভাংচুরের চেষ্টা চালিয়ে এক দোকানীর মোবাইল ভেঙে আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ফের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে তারা।এতে প্রায় ৮০ টি কাঁচা মাছ,কাঁচা তরকারি,মুদির ও ঔষধের দোকানের বেচাবিক্রি বন্ধ থাকায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন জমির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা।
এ ঘটনায় উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মোঃ ইব্রাহীম পুইত্যা।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উখিয়া পুলিশের একটি দল।
অপরদিকে একই জমির ক্রয় সুত্রে মালিকানা দাবী করে
জনৈক আবদুস শুক্কুর নামের সাবেক এক ইউপি মেম্বার
বলেন,জমিটা আমার। এটি আমি জামতলীর আবু তাহেরের ছেলে আবু রাসেল ও ছৈয়দ হোছাইনের ছেলে ইউনুস সহ কয়েকজন কে লাগিয়ত দিয়েছি। জসিম উদ্দিন কালু ও ইব্রাহীম গংরা জোরপূর্বক দখলে রাখার চেষ্টা করছে।এ সংক্রান্তে স্থানীয় ইউপির সদস্য মুফিদুল আলম শিকদার কে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।এ প্রসঙ্গে মুফিদুল আলম শিকদার বলেন,অভিযোগ দিয়েছিল,জমি সক্রান্ত হওয়ায় আমি ইউনিয়ন পরিষদে শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিয়েছি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ সন্জুর মোরশেদ বলেন,এক পক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।