জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তরুণদের প্রতিনিধি পলি ত্রিপুরা ও শুভ মন্ডল।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাঙামাটি জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রেখেছেন।
এসময় বক্তারা বলেন, জনস্থানসহ অন্যান্য জায়গায় নারী ও কন্যা শিশুদের উপর যৌন হয়রানি ও নানাবিধ যৌন সহিংসতা বাংলাদেশ এমনকি বিশ্বের অনেক সভ্য দেশেও নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময়টাতে নারীরা সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যেমও নানা ধরনের নিপীড়ন এবং যৌন হয়রানি বা সিহংসতার শিকার হচ্ছে। যা নারীর পূর্ণ সম্ভাবনা এবং জীবেনর সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণকে বাধাগ্রহস্ত করেছে। নারীর অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে এসব ঘটনাগুলোই প্রধান অন্তরায়।
জনস্থানে নারী ও কন্যা শিশুদের হয়রানি ও সহিংসতা বিষয়ে নিরবতা ভাঙ্গা; সময়ের সাথে সাথে আচরনে ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা, ক্যাম্পেইনে ভূমিকা রাখতে যুব সংগঠনগুলোকে যুক্ত করা; ভুক্তভোগী ও নির্যাতনের শিকার নারীদের সহিংসতা বন্ধে কথা বলতে উৎসাহিত করা; অপরাধীদেরকে দৃঢ় ও সুনির্দিষ্ট বার্তা দেয়া; এবং এই সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রচলিত বিধি-বিধানের সাথে সমন্বিত করা এই ক্যাম্পেইনের অন্যতম অর্জন। ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত জানতে স্যোশাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইট (www.wspp-bd.org) ভিজিট করুন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮.২ এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবেনর সবক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার এবং চলাফেরার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুযায়ী শ্রমবাজার ও কর্মক্ষত্রে সমান অধিকারসহ সব ধরেনর জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
আলোচনা সভা থেকে দেশের সকল স্থানে নারীদের চলাচলের স্থান সমূহকে নিরাপদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।