মংহাইসিং মারমা; বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় নোয়াপতং ইউনিয়নের চুইরংমা মারমা (৪০) নামে এক নারীকে ধষর্ণের পর গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত চুইরংমা মারমা (৪০), সে রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহিলা কারবারি পাড়ার গ্রামের থুইসাপ্রু মারমা স্ত্রী।
৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪নং নোয়াপতং এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
ভিকটিমের বড় ছেলে উশৈচিং মারমা বলেন, প্রতিদিনের মতন সকাল হলে ভাত নিয়ে আমার মা জুমে হলুদ তুলতে যায় । বিকালে সময়মত বাসায় না পৌছলে বাবা জুমে ঘরে গিয়ে খোজাখুঁজি করলে ওই মূহুর্তে এলোমেলো ভাবে হলুদ ও ভাতের থালা দেখতে পায়। পরে বাবা গ্রামে এসে পাড়াবাসীদেরকে খবর দেই। এসময় পাড়াবাসী জুমে গিয়ে খোজাখুঁজি করলে জুম ঘরের পাশে মায়ের গলা কাটা লাশ ও ঘটনাস্থল থেকে দুইটি লাঠি, ঢামা দা ও একটি কোদাল পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নিহত চুইরংমা মারমা (৪০) নিজ জুমে হলুদ তুলতে যায়। সন্ধ্যা নামলে কাজ শেষ করে ফেরার পথে কয়েকজন গাছ কাটার শ্রমিক তাকে একা পেয়ে নোয়াপতং ঝিড়িতে ধষর্ণ করে গলা কেটে পালিয়ে যায়। কে বা কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায় নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে বাগানে গাছ কাটতে যাওয়া শ্রমিকেরা একা পেয়ে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে লাশটি পাহাড়ের খাদে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নোয়াপতং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চনুমং মার্মা বলেন, চুরংইমা সন্ধ্যায় বাড়ীতে আসতে দেরী হলে তার সন্তানেরা খোজাখুঁজি করে জুম ঘরের পাশে রাত্রে তার গলা কাটা লাশ খুঁজে পায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি ময়না তদন্ত মাধ্যমে জানতে পারবো।