ইউক্রেনের আকাশে এখন গোলা-বারুদের গন্ধ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। এরইমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনসহ ২৮ দেশ।
এরইমধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে দেশটির দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান শহরগুলোর চারপাশে যুদ্ধ চলছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ সেনারা চেষ্টা করছে রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখলে নেয়ার। এরপর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কিয়েভের মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় পাওয়া গেছে একাধিক বিস্ফোরণের খবর। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলার শব্দ এত তীব্র ছিল যে শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা।
এ পরিস্থিতি বিবেচনায় বড় সিদ্ধান্তে উপনীত হল পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ২৮ দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্রসহ অন্যান্য সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। অস্ত্র ছাড়াও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য মিলিটারি সহায়তা দেবে এই ২৮ দেশ।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেন ওয়ালেস শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য এক ডোনার কনফারেন্সের আয়োজন করে। ভার্চুয়াল এই কনফারেন্সে অংশ নিয়ে প্রত্যক রাষ্ট্রই সহায়তার ব্যাপারে সম্মত হয়।
এক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দুই ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। সামরিক ও বেসামরিক। সামরিক সহায়তার আওতায় তারা ইউক্রেনকে গোলাবারুদ, ট্যাংকবিধ্বংসী ও বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র দেবে। বেসামরিক সহায়তার আওতায় থাকবে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।