খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গায় বাংলাদেশ আওয়ামী’লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২১ ফেব্রুয়ারী(সোমবার) শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী’লীগ মাটিরাঙ্গাস্থ দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আ,লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন’র সঞ্চালনায়,উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এম.হুমায়ুন মোর্শেদ খান’র সভাপতিত্ত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামী’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সুবাস চাকমা,উপজেলা আওয়ামী’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু হিরণ জয় ত্রিপুরা-সদস্য খা.জে.প,পৌর আওয়ামী’লীগ সহ-সভাপতি বাবুল বনিক,উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন হবি,উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সরকার,উপজেলা সেচ্ছাসেবক’লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব,পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহম্মেদ,পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সহ-সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম,সহ-সভাপতি মোঃ ওয়ালিউল্লাহ,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সদুং মার্মা,সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আলী হোসেন,দপ্তর সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আলী, পৌর আওয়ামী’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন লিটন,পৌর যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন,কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ সাদ্দাম হোসেন,পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন আলম, পৌর আওয়ামী’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তরা বলেন বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটায়।ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবকরা হতাহত হন।ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাসমুহ হারিয়ে যাচ্ছে সেগুলোকেও সংরক্ষণ করতে হবে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ২১ এর চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামেন রেখে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত ১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘বাংলা ভাষা প্রচলন বিল’ পাশ হয়। যা কার্যকর হয় ৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল থেকে।