কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের ( সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, কোটবাজার সহ টেকনাফ সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে ।ইতিমধ্যে সরকারি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে কোট বাজারে স্টেশনে সড়কের উভয় পাশে কত ফুট উচ্ছেদ করা হবে তা লাল রং দিয়ে ডিমারকেশন করা হয়েছে । এখনও সময় আছে দোকানের মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের আহবান জানান তিনি।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, যানজট কমাতে সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সেতু ও সড়ক মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসাবে গত দুই সপ্তাহ পূর্বে সওজ বিভাগের সার্ভেয়ার টিম পরিমাপ করে লাল রং দিয়ে ডিমারকেশন করেন ।
কোটবাজারের অনেক ব্যবসায়ীরা জানান , লাল রং অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হলে শত শত দোকানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে । জায়গার মালিক দুবাই প্রবাসী শফিকুল রহমান শফি অভিযোগ করে বলেন , সরকারের প্রয়োজনে আমরাও জায়গা দিতে রাজি আছি । কিন্তু আমাদের নিজস্ব খতিয়ানি জায়গার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে কক্সবাজার সহজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদী হয়ে ৭৫ জন ব্যক্তিকে বিবাদী করে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নম্বর ২০৭/২০১৮ এবং অপর ৩৭২ /২০২১ ইং।মামলায় উল্লেখ করেন সরকারি অধিগ্রহণকৃত ১৩. ৫০ একর জায়গায় বিবাদী গন জবর দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে।অপরদিকে জায়গার মালিকানা দাবি করে অনেকেই সরকারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা গড়িয়েছে। আবার অনেকেই মামলার আদেশ সাইন বোর্ড দিয়ে টাঙ্গিয়ে দিয়েছে ।
উচ্ছেদ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী
প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আগামী মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে বুলডোজার সহ অত্যাধুনিক ক্রাইন আনা হয়েছে । উচ্ছেদ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। গত ৩ দিন ধরে দোকান থেকে মালমাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে । অপর এক প্রশ্নের জবাবে , নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান সরকারি অধিগ্রহণকৃত জায়গায় , প্রভাবশালী মহল নিজেদের জায়গা দাবি করে মার্কেট ও বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ । আমরা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করব ।
এদিকে সরকারি জায়গা বেদখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ ।সুশীল সমাজের মতে পক্ষপাতিত্ব না করে একনীতির ভিত্তিতে সড়কের উভয় উচ্ছেদ করা হোক ।