দেশে বৈধ পথের পাশাপাশি অবৈধ পথেও আসছে মোবাইল ফোন। সেই ফোনের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। দেশে বিক্রি হওয়া মোট মোবাইলের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। অবৈধ পথে দেশে আসা মোবাইলের এই বাজারকে বলা হয় গ্রে মার্কেট। কিছুদিন আগেও যা খুব একটা বড় ছিল না। সম্প্রতি আবার বাড়তে শুরু করেছে গ্রে মার্কেটের পরিসর।
মোবাইল বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশনের সময় দেশে অবৈধ পথে মোবাইল ফোন আসার পরিমাণ কমে গিয়েছিল। হ্যান্ডসেটের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আবারও বাড়তে শুরু করে।
এখনও মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে, তবে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে। যেকোনও (বৈধ ও অবৈধ) ফোন চালু করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সেটসহ আইএমইআই ডাটাবেজে (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফোন ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নিবন্ধিত হয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীতে কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হওয়া স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধন শেষে মোবাইল ফোন সংশ্লিষ্টরা গ্রে মার্কেট নিয়ে তাদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কথা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে জানান। মন্ত্রী তখন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ফোনের বিক্রি কম থাকে। অন্যদিকে মহামারিও বাজারের গতি কমিয়ে দিয়েছে ঢের।
মার্চ থেকে বাজার স্বাভাবিকভাবেই ভালো হতে শুরু করে। দুই ঈদের বিক্রিতে ব্যবসায়ীরা সাধারণত ক্ষতি পুষিয়ে নেন। কিন্তু গ্রে মার্কেট বড় হওয়াতে চ্যানেল পণ্যের বিক্রি কমবে বলে তাদের আশঙ্কা।