রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নের যথাক্রমে বাঙালহালিয়া, গাইন্দ্যা, ঘিলাছড়ি প্রত্যেক ওয়ার্ডের অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে এখন এইসব এলাকায় বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো ।
বিশেষ করে যেখানে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী ছিল সেইখানে ইজিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। সড়কের আশেপাশে জঙ্গল কেটে রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে।
৮ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গল বার সকাল ১০ টায় গাইন্দ্যা ইউনিয়নের চিতা খোলা হয়ে পাইন্দ্যাং পাড়া সড়কে প্রকল্প পরিদর্শনে যান রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা । এইসময় ২ নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, হেডম্যান চথোয়াইনু মারমা, রাজস্থলী প্রেস ক্লাব সভাপতি আজগর আলী খান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কার্বারী এবং সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) রবিউল ইসলাম জানান, রাজস্থলী উপজেলার ০৩টি ইউনিয়নে ইজিপিপির আওতায় ০৮টি প্রকল্পের ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচী গত ৫ জানুয়ারী হতে শুরু হয়েছে ।
২০২১-২২ অর্থ বছরে রাজস্থলী উপজেলায় এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ পরিমান ৩৬লাখ ৯৬ হাজার টাকা।এই ২নং ইউনিয়নের দূর্গম ২ টি ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো এই প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে। উপজেলা পিআইও দপ্তর হতে জানা যায়, রাজস্থলীউপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে চলমান এই প্রকল্পের উপকারভোগীর সংখ্যা ২ শত ৩১জন। তৎমধ্যে ২ নং গাইন্দ্যা ইউনিয়ন এর দূর্গম চিতা খোলা, পাইন্দং পাড়া সহ ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে এই কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে পরিশোধ করা হচ্ছে।এখানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে নগদ টাকা লেনদেন বা কোন অনিয়মের সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।দূর্গম পাহাড়ে ওই কর্মসৃজনের আওতায় এবারেই প্রথম কোন কাজ পেয়ে খুশি হতদরিদ্ররা।
এসময় “বার্তা পোষ্ট” কে শ্রমিকরা জানান, পাহাড়ি মেঠোপথে খুব সুন্দর ভাবে আমরা এই প্রকল্পের অধীনে কাজ করছি এবং বিকাশের মাধ্যমে আমাদের পারিশ্রমিক পাচ্ছি।