মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:- দীর্ঘ বছর যাবৎ দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার (হালদা পাড়) বাটনাতলী, যোগ্যাছোলা, কালাপানি, আছাদতলী, গোরখানা, তুলাবিল ও ছদুরখীল এলাকায় তামাক চাষ হলেও সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় সাম্প্রতিক সময়ে তা কমে এসেছে। সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে বিগত কয়েক বছরে হালদা পাড়ের এইসব তামাক চাষিদের বিকল্প জীবিকায়ন সৃষ্টিতে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)। আর মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করতে তদারকি করছেন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।
এরই অংশ হিসেবে “হালদা নদীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও হালদা উৎসের পোনার বাজার সম্প্রসারণ” শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় তামাক চাষিদের বিকল্প জীবিকায়নে উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেছে আইডিএফ ও পিকেএসএফ’র কর্মকর্তারা। সোমবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার গোরখানাস্থ শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা’র হল কক্ষে আইডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। সভায় চাষিদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অতিতের ন্যায় বিকল্প জীবিকায়ন সৃষ্টিতে ভিন্নধর্মী চাষাবাদের আহবান জানান অতিথিরা। এতে সকল ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন তারা। মতবিনিময় সভায় হালদা পাড়ের অর্ধশতাধিক চাষি অংশ নেন।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন আইডিএফ’র খাগড়াছড়ি জোনের জোনাল ম্যানেজার মো. শাহ জাহান, হালদা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদুল হাসান, আইডিএফের মাটিরাঙ্গা শাখা উপ-সহকারী কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রুবেল হোসাইন, মানিকছড়ি শাখার উপ-সহকারী কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা চন্দ্রদয় রোয়াজা প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর যাবৎ হালদার উজান উপজেলার বাটনাতলী, গোরখানা, যোগ্যাছোলা, আছাদতলী এলাকায় তামাক চাষীদের বিকল্প জীবিকায়ন সৃষ্টির লক্ষে কৃষকের মাঝে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান, সবজি বীজ, মাছের পোনা, মুরগীর বাচ্চা, উন্নত প্রজাতির পেঁপে, আম, কাঁঠাল, শরিফাসহ বিদেশি ফল রামবুটান ও ড্রাগনে চারা বিতরণসহ নানাভাবে সহায়তা করে আসছে আইডিএফ ও পিকেএসএফ।