খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সনাতন ধর্মাবলম্বী ৫ গ্রামে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে লিটন সাহার ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত “গীতা স্কুল”। ধর্মীয় শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে মন্দির ভিত্তিক এমন শিক্ষা কার্যক্রমে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হওয়ার পাশাপাশি খুশি স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা৷ স্কুলগুলো পরিচালিত হয় উপজেলার মায়াফাপাড়া লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির, জগন্নাথ পাড়া (ব্রিকফিল্ড) সার্বজনীন জগন্নাথ মন্দির, যৌথখামার আবাসিক ছাত্রাবাস রাধাকৃষ্ণ মন্দির, সুধীর মেম্বার পাড়া জগন্নাথ ও দুর্গা মন্দির ও লম্বাছড়া সার্বজনীন রাধা মন্দিরে৷
জানা যায়, দীঘিনালায় ইতোপূর্বে এমন ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিলনা৷ এসব বিষয় বিবেচনা করে উপজেলার জগন্নাথপাড়ার (ব্রিকফিল্ড) মৃত সুবল সাহার পুত্র লিটন সাহা ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৫ গ্রামে চালু করেন গীতা স্কুল। বর্তমানে আরো ৩ গ্রামে গীতা স্কুল চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন। শিক্ষার্থীদের যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ সামগ্রীর ব্যায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে বহন করলেও শিক্ষকদের সম্মানী দিতে পারেন না লিটন সাহা। অবশ্য শিক্ষকরাও পাঠদান করাচ্ছেন নিঃস্বার্থভাবে। তারা তাদের গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পেরে আনন্দিত।
১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে উপজেলার মায়াফাপাড়া লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত এ গ্রামের কোমলমতি শিশুদের গীতা শিক্ষা পাঠদান করাচ্ছেন জয়ন্তী ত্রিপুরা। এ গীতা স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল ব্যাপক। একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি এ ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে পেরে তারা খুবই খুশি।
শিক্ষিকা জয়ন্তী ত্রিপুরা জানান, প্রায় দু’বছর যাবৎ লিটন সাহার ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত এ গীতা স্কুলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্রীতে পাঠদান করাচ্ছি। আমি আমার গ্রামের শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতে পারছি এটাই আমার বড় স্বার্থকতা।
গীতা স্কুলের পরিচালক লিটন সাহা জানান, সমাজে ধর্মীয় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে আমার এ উদ্যোগ৷ দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। বর্তমানে আরো ৩ গ্রামে এ “গীতা স্কুল” চালুর প্রক্রিয়া চলমান। সরকারি ও বেসরকারি কোন সহযোগিতা পেলে গীতা স্কুলের শিক্ষকদের কিছু সম্মানী দেওয়ার পাশাপাশি এ শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে পারবো৷