খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ১২ জানুয়ারি রোজ বুধবার সকাল ০৯.০০ঘটিকা হতে উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যক্রম শুভারম্ভ হয়েছে।
মহালছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ধনিষ্ঠা চাকমা’র ব্যবস্থাপনায় উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট যুব ইউনিটের সরব উপস্থিতি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় মহালছড়ি উপজেলাধীন সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন (ফাইজার গন টিকা )প্রদান কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ধনিষ্ঠা চাকমা শুভারম্ভ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে বলেন এই কার্যক্রম আজ বিকাল ৪.০০ঘটিকা পর্যন্ত চলবে কিন্তু বর্তমান করোনা ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন কে সামনে রেখে পর্যায়ক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২-১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের যথাযথ সিদ্ধান্ত রয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মহালছড়ি সরকারি কলেজ এর উভয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ১২০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে করোনা টিকা ফাইজার প্রদান করার চেষ্টা করা হবে। বয়স্কদের মাঝেও অনেকে বুস্টার ভ্যাকসিন প্রদান করেন।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন কুমার শীল বলেন বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার সুচিন্তিত সর্বাত্মক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেয়া হবে। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। তারই মহালছড়ি উপজেলাও ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উক্ত কার্যক্রমে আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল এবং সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন,রেড ক্রিসেন্ট যুব ইউনিট যুবপ্রধান মোঃ রিমন মিয়া সহ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে টিকার তথ্য ভাণ্ডারে এই তথ্য যোগ হওয়ার পর সুরক্ষা সাইটে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন শুরু হয়। সারা দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী রয়েছে এক কোটি ২৫ লাখের কিছু বেশি। তবে প্রথম দফায় টিকা পাবে ৩০ লাখ শিশু। তাদের দুই ডোজ দেয়ার জন্য ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ সংরক্ষিত রয়েছে।
লক্ষনীয় বিষয় যে প্রায় শিক্ষার্থীগণ সুরক্ষা হিসেবে মাস্কহীন বুথের সামনে জড়ো হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে হুড়োহুড়ি করছে।