বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-বিরোধী শক্তি দেশে- বিদেশে বসে মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে এবং বিদেশে উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হবার পরে সরকারের তিন বছর পূর্তিতে শেখ হাসিনা এই ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাই নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়ে ছিল তার সরকারের গৃহীত এবং বাস্তবায়িত নানা ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় তার সরকার কী ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেটিও তিনি তুলে ধরেন।
তিনি দাবি করেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশ ‘বিস্ময়কর উন্নয়ন’ সাধন করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি নানাবিধ অবকাঠামো নির্মাণের বিবরণ দেন। যার মধ্যে রয়েছে – পদ্মা-সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল এবং রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
“২০২২ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক বছর। আর কয়েকমাস পর জুন মাসেই আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা-সেতু। অনেক ষড়যন্ত্রের জাল আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা-সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, এই সেতু জিডিপিতে ১.২ শতাংশ হারে অবদান রাখবে।
“গত ১৩ বছরে আমরা কী কী করেছি তা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন,” বলেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে তার সরকারের গৃহীত নানাবিধ প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।