কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প অভ্যন্তরে ক্যাম্প প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফের বাজার বসিয়েছে রোহিঙ্গা। প্রশাসনের বন্ধ করে দেওয়া জায়গায় কার বা কাদের আস্কারায় বাজার বসাতে সাহস পেল রোহিঙ্গারা?এ বাজার থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে কোন অর্থ জমা হচ্ছে কিনা?এমন প্রশ্ন রীতিমত ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে।
সম্প্রতি সময় ক্যাম্প প্রশাসন লম্বাশিয়ার কথিত বাজারে অবৈধভাবে গড়ে উঠা কয়েক শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করেছিল।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বাজারটি।ওইসব জায়গায় নতুন করে বর্ধিত শেড নির্মাণ কাজ চলছে।আপাতত খালী থাকা জায়গায় প্রায় প্রতিদিন বাজার চলছে।পুনরায় বাজার বসিয়ে রোহিঙ্গারা প্রশাসনের নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। নতুন করে বসানো বাজারে শত-শত পসরা সাজিয়ে বসেছে কাচা,শুকনা মাছ,কাচা তরিতরকারি সহ নানা পণ্যাদির খোলা দোকান।
৭ জানুয়ারী বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বেপারীরা সবাই রোহিঙ্গা।অথচ গত কিছুদিন পূর্বে বাজারটি উচ্ছেদ করেছিল ক্যাম্প প্রশাসন। হাজার-হাজার ভোক্তা রোহিঙ্গারা বাজারে সওদা করছে।বন্ধ করে দেওয়া জায়গায় ফের রহস্যজনক কারণে বিশাল জায়গা ব্যবহার করে কাচা বাজার গড়ে তুলেছে।?এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।কে বড় রোহিঙ্গা কালোবাজারী না প্রশাসন? স্থানীয়দের অনেকেই জানান,রোহিঙ্গারা এদেশের আইনকানুন ও বিধিনিষেধ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।তাদের জন্য সব হালাল!স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আইন প্রয়োগ হয়।রোহিঙ্গারা মানবতার ফ্রি খাবার খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে।সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারলে মিয়ানমারে ফিরবে কেন? আর স্থানান্তর হয়ে ভাসানচরে যাবে কেন? এমনটাই মন্তব্য স্থানীয়দের।
এ প্রসঙ্গে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন’র অধিনায়ক(এসপি) মোঃ নাইমুল হক জানান, নতুন করে কোন স্থাপনা গড়ে তোলার সুযোগ নেই।তবে অস্থায়ী কোন জনলোকারণ্য বাজার বসিয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।