রামু, কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছরা রেঞ্জের দক্ষিণ মিঠাছড়ির চেইন্দার ছেংছড়ি এলাকায় মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসন এবং বনজ সম্পদ রক্ষায় জনসচেতনতামূলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর ( সোমবার) সকাল ১১টায় পানেরছরা রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান টগর এর সভাপতিত্বে ও পানেরছরা বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা’র সঞ্চালনায় পানেরছরা রেঞ্জের চেইন্দা বিট এলাকায় স্থানীয় মানুষদের সচেতন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন,কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান,বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম খলিল।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মানুষ-হাতি দ্বন্দ্বের ফলে প্রতিনিয়ত অনেক নিরীহ হাতি হত্যার শিকার হচ্ছে। আর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে মানুষ।আবার কখনো কখনো মানুষও নিহত হচ্ছে হাতির আক্রমণে।বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। হাতি হত্যা করলে আইন অনুযায়ী জেল, জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে।
পানেরছরা রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান টগর বলেন,হাতি দ্বারা কোন প্রকার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পূরণের জন্য “বন্যপ্রাণি দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জানমালের ক্ষতি পূরণ নীতিমালা অনুযায়ী সরকার এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই হাতিকে হত্যা না করে, হাতি সংরক্ষণে বাংলাদেশ বন বিভাগকে সহায়তা করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় এলিফ্যান্ট রেস্পন্স টিমকে।
উক্ত সভায় উপস্হিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন,বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম খলিল,লিংকরোড় বনবিট কর্মকর্তা গাজী মোঃ বাহার উদ্দিন,তুলাবাগান বিট কর্মকর্তা মোঃ ফসিউল আলম,দক্ষিণ মিঠাছড়ির ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান,ছাত্রলীগ নেতা আজিজ,নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর সুফল প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মুফিদুল আলম।
এ সময় ভিলেজার সহ স্থানীয় গ্রামবাসী সহ বিট অফিসের ফরেস্ট গার্ডবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।
সভায় হাতি সংরক্ষণ, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন, হাতি দ্বারা আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ, বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তারা ব্যাপক আলোচনা করেন।