শ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজার।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে শুরু করেছে ।ধারাবাহিকতায় এবার শফিউল্লাহকাটা ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের অধীনে কর্মরত সিপিপি’র এক সদস্যকে। ৮ ঘন্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ক্যাম্পে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষারকারী বাাহিনী এবিপিএন-১৬।
জানা গেছে, ২৩ ডিসেম্বর (বুধবার) মধ্যরাতে উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ হোসেন (৩৬) কে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। সে টেকনাফ পৌরসভার কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে পালংখালী ইউনিয়নের ১৬ নম্বর শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ/১ এর বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে। তাহের ওই ক্যাম্পে হেড মাঝি (রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা) বলেও সূত্রে জানা গেছে।
কক্সবাজারের ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এর অধিনায়ক এসপি হেমায়েতুর রহমান বলেন, সিপিপি সদস্য অপহরণে জড়িত থাকার দায়ে এক রোহিঙ্গা নেতাকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকালে সিপিপি কর্মী মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে অজ্ঞাত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে তার স্বজনদের কাছে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। খবরটি অবহিত হওয়ার পর থেকে তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে এপিবিএন’র সদস্যরা।
“অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানের এক পর্যায়ে বুধবার মধ্যরাত পৌনে ১টায় শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডি-৪ ব্লক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালা উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ওই ক্যাম্পের হেড মাঝির জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। উদ্ধার হওয়া সিপিপি সদস্যকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।