১১ই নভেম্বর বরকল উপজেলার ৪ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত নির্বাচনে আইমাছড়া, বরকল সদর ও সুবলং ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী দেয়া হয়।বড় হরীনা সম্পুর্ন জেএসএস অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানে কোন প্রার্থী দিতে ব্যার্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে বরকল সদর ইউনিয়ন ছাড়া বাকী দুটিতে বিপুল ব্যবধানে হেরেছে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীরা।আইমাছড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকপ্রাপ্ত নাছির উদ্দীন মহারাজ নৌকার পেয়েছেন ৭শ ৯৭ ভোট।
অন্যদিগে জেএসএস সমর্থিত সুবিমল চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩শ ৮৮ভোট এবং ইউসূফ আলী হাতপাখা প্রতীক ৯০ভোট। এ বিষয়ে নাছির উদ্দিন মহারাজ জানান,নির্বাচনের শুরু থেকেই উপজেলা ও জেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দগন আমাকে চরম অবহেলা করেছেন।আমি একাধিকবার তাদের কাছে গিয়েও তাদের সমন্বয়ে একটা সিনিয়র টিম নিয়ে আমার এলাকাতে নির্বাচনী প্রচরনা চালাতে ব্যার্থ হয়েছি।অন্য দিকে বরকল উপজেলা আহবায়ক কমিটি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে মাত্র একদিন আমার এলাকাতে শুধুমাত্র কলাবুনিয়া বাজারে লিফলেট বিতরন করে নিজেদের দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন।এরপর তাদের আর খুজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও আইমাছড়া আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও বরকল উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য রুহুল আমিন ফরাজি প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকের বিরোধীতা করে আনারসের জন্য ভোট চেয়েছেন।যদিও জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য সবির কুমার চাকমা আমার নির্বাচনী প্রচরানাতে একদিন সময় দিয়েছেন।কিন্তু বরকলে আমাদের সকলে মুরব্বী হিসেবে সুপরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাবু সন্তোষকুমার চাকমা একবারের জন্য আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার নির্বাচনী প্রচারনার কাজে আসেন নাই।অন্য দিকে তিনি সুবলং ইউনিয়নে তার ভাতিজা নৌকা প্রতিক প্রাপ্ত পবিত্র চাকমাকে জয়যুক্ত করার জন্য একাধিকবার সুভলং এর বিভীন্ন নির্বাচনী এলাকাতে প্রচারনা চালিয়েছেন।এছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকার জেএসএস অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকাতেও আমি আমার পক্ষ থেকে এজেন্ট দিলে তারা তাদের দায়িত্ব পালনে জন্য গেলে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ১নং সুবলং ইউনিয়নে বরকল উপজেলা আহবায়ক কমিটি থেকে শুরু করে যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশসহ দীর্ঘ সময়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হয়েছেন নৌকা প্রতিক প্রাপ্ত প্রার্থী সুভলং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সন্তোষ কুমার চাকমার ভাতিজা পবিত্র চাকমা।নির্বাচনের দিন সকালেই তার সমর্থকরা বরুনাছড়ি কেন্দ্রে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে ব্যার্থ হয়।যার ফলে তাদের উক্ত কেন্দ্রে ভরাডুবি ঘটে নৌকা সমর্থিত সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী প্রার্থী আজিজ।বরাবরের ন্যায় সেখানে মেম্বার পদে বিএনপি সমর্থিত জাহাঙ্গীর নির্বাচিত হন।উক্ত কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে তরুন জ্যোতি চাকমা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৩ ভোট,পবিত্র চাকমা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৯শ ৬৩,আবুল কালাম হাত পাখা প্রতীক ১৪৮ ভোট।উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নৌকা প্রতিক প্রাপ্ত প্রার্থীর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
অন্য দিকে ২নং বরকল ইউনিয়নে এর আগেও একাধিকবার নির্বাচিত প্রভাত কুমার চাকমা তার আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন।উক্ত ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ২ হাজার ১শ ১৪ ভোট এবং সতন্ত্র প্রার্থী নন্দ বিকাশ চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬শ ৯৭ ভোট। অন্য দিকে জেএসএস অধ্যুষিত ৫ নং বড় হরিণা ইউনিয়নে নিলাময় চাকমা আনারস পেয়েছেন ২ হাজার ১শ৭৫ ভোট,বিনয় কৃষ্ণ চাকমা মোটরসাইকেল ২৩২ভোট,ধনলাল চাকমা টেবিল ফ্যান প্রতীক ১৯২ভোট,সঞ্চয় মনি চাকমা চশমা ৫০ভোট।
কাপ্তাইয়ের ৩ ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন : ৫ কেন্দ্রে ভোট অনিয়মের অভিযোগ এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর।