মোঃ সাদ্দাম হোসেন,মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি):
খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গায় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩নভেম্বর ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় উপজেলা আ,লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । পরে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন দলের সভাপতি এম হুমায়ূন মোর্শেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্মাণাধিন দলীয় কার্যালয়ে পৌর আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন লিটন এর সঞ্চালনায়, পৌর আ,লীগের সহ-সভাপতি বাবুল বণিক এর সভাপতিত্ত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এম হুমায়ূন মোর্শেদ খাঁন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা,জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা,আলী হোসেন,মোহাম্মদ আলী(কাউন্সিলর),
আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জনাব মো. রকিবুল হাসান(কাউন্সিলর),উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবুল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম,জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা সভাপতি মোঃ হারুন মিয়া,উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ হবি উল্লাহ,পৌর যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদ,পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, পৌর মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ আনোয়ারা বেগম (সংরক্ষিত কাউন্সিলর),উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ তছলিম উদ্দিন রুবেল,কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন আলম প্রমুখ। ।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির মদদে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য সপরিবারে হত্যা করে। অভ্যুত্থানকারীরা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীরা দেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পূর্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কতিপয় সেনা কর্মকর্তা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আ হ ম কামারুজ্জামানকে গুলি করে এবং সঙ্গিন দিয়ে বিদ্ধ করে হত্যা করে।