মোঃ,আজগর আলী খান,রাজস্থলী ( রাঙামাটি):
‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি‘পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ’ এ নীতিতে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ৩০ অক্টোবর সকাল ১০ টায় র্যালির পর পর উপজেলা হল রুমে এক আলোচনা সভা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র পুলিশ সুপার আবু ছালেহ। সভায় বক্তারা বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যথাযথ প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সবার মধ্যে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি ও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগের ক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ ও জনগণকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি ইতোমধ্যে, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সে যাত্রায় সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশও একান্ত সারথী হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সদস্যদেরকে সদা সচেষ্ট থাকতে হবে।মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘দেশব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৮১টি কমিটির মাধ্যমে ১১ লাখ ১৭ হাজার ০৮০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামীতেও নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণ এবং পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন-মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, ইভটিজিং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণেও প্রয়োজনীয় আগাম তথ্য দিয়ে কমিউনিটির সদস্য তথা সমাজের মানুষ পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারেন। ফলে জনবান্ধব পুলিশিং এর পথ সুগম হওয়ার পাশাপাশি অপরাধ দমনে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আলোচনায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা, ডাঃ রুইহলাঅং মারমা, ওসি মফজল আহমদ খান, থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পুচিংমং মারমা, সাংবাদিক আজগর আলী খান, মহিলা সভানেত্রী লংবতি ত্রিপুরা, সহ জনপ্রতিনিধি হেডম্যান, কার্বারী,এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।