রিপন ওঝা,মহালছড়ি,খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি জেলার নুনছড়ি উপজেলার দেবতাপুকুর
হতে দক্ষিণ দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩০০ বিঘার জমির ১৫০ কোটির অর্থের পরিমাণযোগ্য গাজার ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।
আজ খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি সেনা জোনের উপঅধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলাম, পিএসসি’র নেতৃত্বে গতকাল ১৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রোজ শুক্রবার সময় দুপুর ৩.০০ ঘটিকা হতে আজ ১৬ অক্টোবর রোজ শনিবার বিকাল বিকাল ৬.০০ঘটিকা সময়ের মধ্যে সদর নুনছড়ি ইউনিয়নের দেবতা পুকুর নিকটে টহল চলাকালীন সময়ে আনুমানিক প্রায় ৩০০ বিঘা গাঁজা ক্ষেত এর সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন। জানা যায় দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
পরবর্তীতে পুলিশ স্থানীয় জনসাধারণ এর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এর মাধ্যমে গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম। এরকম জায়গায় মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এই এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক নজরদারীর ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন।
আরো জানা যায় যে, গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ০৭ জন এর মধ্যে জমির মালিক ১ জন তার নাম: কদু ত্রিপুরা(৪০), পিতা: মৃত কলারাম ত্রিপুরা, গ্রাম: দেবতাপুকুর পাড়া, পোষ্ট: ১ নং খাগড়াছড়ি, থানা-জেলা: খাগড়াছড়ি। গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ০৩ জন তারা হলেন (১) মুক্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), পিতা: বিষ্ণু কুমার ত্রিপুরা। (২) সুদত্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), (৩) মঞ্জয় ত্রিপুর (৩৫), পিতা: চিনোত্ত দত্ত ত্রিপুরা। এরা সকালেই দেবতা পুকুর পারার বাসিন্দা। গাঁজা চাষের কর্মীরা হলেন ০৩ জন তাদের নাম (১) মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২),পিতা: মৃত মতি কুমার ত্রিপুরা,গ্রামঃ দেবতা পুকুর পাড়া, পোস্টঃ ১ নং খাগড়াছড়ি। থানা/জেলাঃ খাগড়াছড়ি। (২) হেরন ত্রিপুরা (৪৫) এবং (৩) শান্তি ত্রিপুরা (২৫) এদের মধ্যে মায়া কুমার ত্রিপুরা (২২) কে নিরাপত্তা বাহিনী আটক করে। মহালছড়ি থানার এস আই শেখ ইফতেখার মাহামুদ ও মোঃ ফরিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মহালছড়ি সেনা জোনের উপঅধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলাম, পিএসসি’র বলেন লোক চক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোক জন গাঁজার চাষ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
তিনি আরো বলেন মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এইরুপ কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে অনুমেয়। মহালছড়ি জোনের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মহালছড়ি জোনে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। ভবিষ্যতেও মহালছড়ি জোনের এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
করোনা মহামারীর মাঝেও মহালছড়ি জোন কর্তৃক বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের জোনের প্রতি তথাপি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হচ্ছে।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই মোঃ আবুল কালাম আজাদ,এ এসআই মোঃ মিজান।