পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার জগতের নক্ষত্র, কবি, সাহিত্যিক ও চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ।
পাহাড়ের নিভৃত জনপদের পিছিয়ে থাকা গনমানুষের ৩৯ বছরের বেশি সময় ধরে সারাবিশ্ব জানান দিতে প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। পার্বত্য এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রকাশ অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাই আজ এই মহান ব্যাক্তির কথা না লিখলে নিজেকে ছোট মনে হবে। দীর্ঘদিন যাবত রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়া ও সমাজের উন্নয়ন ও পাহাড়ের মানুষের সুখ, দুঃখের তথ্য নিয়ে কাজ করে গেছেন আজীবন। তাকে পার্বত্য এলাকার সাংবাদিকতার বাতিঘর বলে আখ্যায়িত করেন সংবাদকর্মীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। তার লেখা অসংখ্য বই বাজারে রয়েছে এবং নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম সাপ্তাহিক বনভুমি ও দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকা। আর বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তমানে ৩৯ বছরে পা রেখেছে।
এই মহান ব্যাক্তি পাহাড়ের উন্নয়নের সাথে উৎপড়ত ভাবে জড়িত নি:সন্দহে বলা যায়। সুতরাং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাছি পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার প্রতিকৃত আলহাজ্ব একে এম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে পাহাড়ের প্রান্তিক এলাকার কথা সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কৃত করলে পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে বলে মনে করছি।
তিনি পার্বত্য অঞ্চলের লেখকদের জন্য তৎকালীন রিজার্ভ বাজারে রাঙ্গামাটি প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে যার অবদান স্বরণ করার মতো।
পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদানের জন্য সম্মাননা পদক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজতজন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ- সাংবাদিকতায় অবদান- ২০০১, ১৯৯০ সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট এর সাংবাদিক অভিধানে জীবন বৃত্তান্ত যোগ করা হয়েছে।
চারণ সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার স্মৃতি পদক ২০০৩ লাভ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা ও সম্মাননাা প্রদান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য শাখা কর্তৃক সম্মাননা, শিল্পী নিকুঞ্জ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ২০০৪ এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমীর সম্মাননা ২০০৪, ২০০৩-২০০৪ ইং বর্ষে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮০ কর্তৃক রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুরস্কার লাভ। বান্দরবান প্রেসক্লাব কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, ২০০৪, কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়া সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক স্বর্ণ পদক, ২০০৪, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০০৪ সনে সম্মাননা লাভ। পত্রিকায় সেনিটেশন বিষয়ে কভারেজ দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্মাননা প্রদান, ২০০৫, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান, ১২ মে ২০০৫, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ফুটন্ত ফুলের আসরের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান, ২৪ অক্টোবর ২০০৫, ৬০ বৎসর পূর্তিতে রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একডেমীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান, ১০ ডিসেম্বর ২০০৫, ২৮ জানুয়ারী’ ০৬ ইং মীরসরাই সমিতি চট্টগ্রাম কর্তৃক সম্মাননা প্রদান। ২০ নভেম্বর ২০০৯ ফরিদপুরের নির্ণয় শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান। ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক লাভ। ২০১২ সালে দৈনিক আজাদীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটির অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ভারতের উত্তরবঙ্গ নাট্য জগত পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দুই বাংলার সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পদক। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রাঙ্গামাটি জেলা সম্মেলনে মানবাধিকার ও সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ সম্মানান পুরস্কারে ভূর্ষিত করা হয়। সম্মাননা-২০১৪ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০তম বর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেস অবদানের জন্য পদকে ভূষিত হয়েছেন।
দক্ষিন এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক ও ভারতের উত্তর বঙ্গের নাট্য জগৎ পত্রিকার পক্ষ থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৯৭ স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর বর্ষ পূর্তিতে সাংবাদিকতায় একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা পুরস্কার এবং একুশে পদক প্রদান করা জোর দাবি জানাচ্ছি।