রিপন ওঝা,মহালছড়ি প্রতিনিধি:
মহালছড়ি উপজেলা হতে গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি সড়কের উভয়পাশে অবস্থিত ত্রিপুরা, চাকমা, মারমা জনগোষ্ঠী অনেক কষ্টে বসবাস করছেন। তবে এলাকার বসবাসরত জনগণের বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির সংকট রয়েছে।
উল্লেখ্যে যে, এই সড়কটি যোগাযোগহীনভাবে দীর্ঘ ১৮ বছর বন্ধ ছিল। এতকিছু শোভাবর্ধক পিচডালা পথের বেশ উন্নয়ন হলেও, উন্নয়নে এলাকায় বসবাসকারী সংখ্যায় আধিক্য জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা, চাকমা ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী বিশুদ্ধ পানির সংকট মহাচরমে রয়েছে। বর্তমানে এলাকাবাসী সকলের নিকট অসহ্যকর এক মেনে চলার চেষ্টা নিমিত্ত মাত্র। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রিজিওনের পরামর্শে মহালছড়ি জোন কর্তৃক অস্থায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
উক্ত রাস্তাটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরামর্শে সড়ক ও জনপথের অর্থায়নে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ২০ ইসিবি তত্ত্বাবধানে সড়কের কাজটি সম্পন্ন করেছেন তবে উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষার পথে।
এ বিষয়ে প্রধান কুমার ত্রিপুরা বলেন, নতুন সড়কের ন্যায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাসহ বিদ্যুৎ ও সুপেয় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দিতে এই এলাকার সকল জনগণ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
মহালছড়ির ফল বাগানের মালিক হ্লাশিমং চৌধুরী বলেন আম, ড্রাগনসহ আমার বাগানের ফল এ বছর কম সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামে ফল যাচ্ছে সিন্দুকছড়ির নতুন সড়ক ব্যবহার করছি কিন্তু স্থানীয়দের বিদ্যুৎ, সুপেয় নিরাপদ পানি,চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা প্রয়োজন।
মহালছড়ি আলোর ফেরিওয়ালা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড এর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করে। এই সড়কটি মূলত পাহাড়কে অক্ষত রেখে নির্মাণ করা হয়েছে। এই সড়ক নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বস্তরের মানুষ থেকে। এই এলাকায় বসবাসরত জনগণের জন্যে মহালছড়ি জোন অস্থায়ীভাবে ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন ত্রাণ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে এই এলাকায় দূরদূরান্তের পর্যটকের জন্যে ক্যান্টিন বা উপযুক্ত খাবারের দোকান নির্মাণ করা প্রয়োজন।আর বিশেষ কথা হচ্ছে যে, এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক সংযোগসহ সুপেয় নিরাপদ পানির সংকট দূরীকরণে স্থায়ী কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হলে সকল জনগণ খুবই উপকৃত হতো।
উক্ত এলাকার কার্বারী কর্মচান ত্রিপুরা বলেন, বর্তমান রাস্তা অনেক সুন্দর হয়েছে, সদ্য সড়কে আপামর সকল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জনগণ দিনদিন রাস্তায় মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে ভীড় করছে, পাশাপাশি দূরদূরান্তের লোকজনের জনসমাগম প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ এলাকায় এই প্রকার উন্নয়ন সহ ২৯৮ নং সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সেনা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিদ্যুৎ ও সুপেয় বিশুদ্ধ পানির ও স্থায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থার স্থায়ী ক্লিনিক স্থাপন করে দিলে এলাকার জনগণ খুবই উপকৃত হতো।