রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, রাঙ্গামাটির দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল ভেবে আমাদের বসে থাকলে হবে না চ্যালেঞ্জিং করে সম্পাদন করতে হবে। যারা অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় বসবাস করে কত কষ্ট করে জীবনযাপন করছে তারাই একমাত্র জানে। আমরা শহরে বসবাস করছি অফিসের চেয়ারে বসে আছি কিন্তু দুর্গম এলাকায় কতটা কষ্ট সেটা আমরা অনুভব করতে পারি না গেলে তো জানতে পারি।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭সালে শান্তি চুক্তি হওয়ার পর ২০০৯সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উন্নয়ন, যোগাযোগ, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই অনেকটা এগিয়ে এসেছে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে কাজ করতে জটিল সমস্যা হয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায়। অন্য দুই জেলাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে গেছে কিন্তু ভৌগলিক অবস্থানের কারণে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা অনেকটা পিছিয়ে আছে। আমরা যদি পরিবার পরিকল্পনাসহ সবাই একযোগে কাজ করি তাহলে দুর্গম এলাকার অনেকটা কষ্ট লাঘব হবে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা পারফরম্যান্স পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
“ছেলে হোক, মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট ” এই প্রতিপাদ্য রেখে
রাঙ্গামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা পারফরম্যান্স পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মোঃ আনোয়ারুল আজিম, পরিবার পরিকল্পনা ক্ষেত্র সেবা প্রদান অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালক মোঃ নিয়াজুর রহমান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা প্যানেল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, বরকল উপজেলা চেয়ারম্যান বিধান চাকমা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।