মো. রবিউল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:-
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ ও সার্ভে কোম্পানীর প্রতিনিধিরা হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে আগত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ছবি তোলায় রোগীর গোপনীয়তা ও নানা বিড়ম্বনায় ভুগছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির অসুস্থ রোগী ও চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজার এলাকায় অর্ধশতাধিক ওষুধের দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই কম-বেশি পল্লী চিকিৎসকরা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।। ফলে উপজেলার তৃণমূল থেকে প্রতিদিন শতশত অসুস্থ রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল কিংবা গ্রাম ডাক্তার কাছে ছুটে আসেন। চিকিৎসকের কক্ষে কিংবা কক্ষ থেকে ওষুধের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হতে না হতে অর্ধশতাধিক ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেনটেটিভ ও সার্ভে কোম্পানীর প্রতিনিধিরা রোগীকে ঘিরে ধরেন ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলেন !
এদের এমন আচরণে বা কাজে অসুস্থ রোগীরা বিব্রত বা লজ্জাবোধ করেন! এতে একজন রোগীর গোপনীয়তা যেমন প্রকাশ পাচ্ছে, তেমনি একজন অসুস্থ রোগী আরো কষ্ট পাচ্ছে। এছাড়া ওষুধের দোকানদাররাও বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এসোসিয়েশন মানিকছড়ির সভাপতি মো. খোকন মিয়া জানান, প্রত্যেকটি ওষুধ কোম্পানীর নির্দেশনা মোতাবেক রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে কোম্পানীকে প্রেরণ করার নির্দেশনা থাকায় এটি করতে হয়। যদিও এটি করতে গিয়ে অসুস্থ রোগীরা বিব্রতবোধ করেন। কিন্তু কোম্পানীর নির্দেশনা থাকা এবং প্রতিদিনই ব্যবস্থাপত্রের ছবি পাঠানো বাধ্যতামূলক থাকায় এটি আমরা করতে বাধ্য হচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা বলেন, বিষয়টি একজন রোগী ও চিকিৎসক এবং ওষুধের দোকানদারের জন্যও বিব্রতকর। হাসপাতালে এ ধরণের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া কোন ওষুধের দোকান বা কারো চেম্বারেও যদি কেউ রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি করে তাও আইন সম্মত না। অভিযোগ পেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।