মোঃ শহিদ,কক্সবাজার
কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। পর্যটকদের ঠেলা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কক্সবাজারে অবস্থিত পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেল গুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পর্যটকদের। স্বাস্থ্যবিধি মানতে জেলা প্রশাসন তৎপরতায় পাত্তা দিচ্ছে না হোটেল মালিক ও পর্যটকরা।
টানা ক”দিনের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকদের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। সূত্র মতে গড়ে দৈনিক ৫০-৬০ হাজার পর্যটক অবস্থান করছে এই পর্যটন নগরীতে। সৈকত, আবাসিক হোটেল, মোটেল, কটেজ, বিপনী বিতান ও বিনোদন কেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্র গুলো পর্যটকে মুখরিত। ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক অবকাশ কেন্দ্র গুলোতে নতুন করে আসা পর্যটকদের ঠাই হচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে অনেকে রাত কাটাতে চড়া মূল্যে হোটেলের ছাদে সামিয়ানার নিচে ও আশে পাশে বাড়ি ঘরে রুম ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছে। তবে এই ঠান্ডায় বিপাকে রয়েছে বাচ্চাদের নিয়ে ভ্রমনে আসা পরিবার গুলো। এসব পর্যটকরা স্বাস্থ্য বিধির ব্যাপারে একে বারেই উদাসীন। ৯৫ শতাংশ পর্যটকের মুখে কোন মাস্ক নেই। অভিজাত অবকাশ কেন্দ্র গুলো কিছুটা স্বাস্থ্য বিধি মানলেও অন্যান্য হোটেল মোটেল গুলোতে এসবের তোয়াক্কা নেই।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকদের দাবী আবাসিক হোটেল গুলোতে রুম ভাড়া নিয়ে গলা কাটা বানিজ্য চলছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে রুম ভাড়া দ্বিগুন।
হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, করোনা সংকটে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা লোকসানে আছে। হয়তো লোকসান কাটিয়ে উঠতে সাধারণত কিছু ব্যবসায়ীরা রুম ভাড়া বাড়তি নিতে পারে। তবে পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানছে না। ফলে বড় আকারে করোনা ঝুঁকির মুখে রয়েছে পর্যটন শহর।
পর্যটকদের অবাধ নিরাপত্তা, ভ্রমন নির্বিঘ্ন করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর রয়েছে। পর্যটন এলাকাগুলোতে এই পর্যন্ত বড় কোন কোন চুরি, ছিনতাই এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জানান, পর্যটকদের কোন ভাবেই স্বাস্থ্য বিধি মানানো যাচ্ছে। এভাবে হলে যে কোন সময় বিস্ফোরণের মতো করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে পর্যটকদের সার্বিক বিষয় গুলো মনিটরিং করছে। বিভিন্ন সময় পর্যটন সেলের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পর্যটকদের কাছে হেনস্থা হচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জন সমাগম পূর্ণ এলাকা গুলোতে পোস্টার সাঁটানো
হয়েছে এবং সারাক্ষন মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। তার পরেও পর্যটকরা এসব মানছেনা।
পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী জানান, পর্যটন এলাকা গুলোতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষ জনক রয়েছে। এই পর্যন্ত পর্যটকদের কাছ থেকে বড় কোন অভিযোগ আসেনি। করোনা বিস্তার রোধে পর্যটকদের সচেতনা বাড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে। এতো কিছুর পরেও পর্যটকরা স্বাস্থ্য বিধির ব্যাপারে উদাসীন। তারা নিজে থেকে সচেতন না হলে কক্সবাজার হবে করোনা বিস্তারের আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট।