খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার গাউছিয়া নার্সারির স্বত্তাধিকারী মোঃ আবদুল হালিমের উপর টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার চার ব্যক্তি ইমন, সুজন, সোহাগ, রফিকদের বিরুদ্ধে।
১৬ আগসট সোমবার রাত ৯ টা ৪৫ এর দিকে মাদসাক্ত অবস্থায় তারা আবদুল হালিমের উপর হামলা করে।
হামলার মূল কারণ সূত্রে জানা যায়, বাজার থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদপুর এলাকায় তারা চারজন তাকে (আবদুল হালিম) আটকিয়ে ফেলে এবং ব্যাগে যা আছে তা বের করতে বলে। টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।ছুড়ি নিয়ে একপর্যায়ে হাতাহাতি পর্যায়ে চলে গেলে এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
গাউছিয়া নার্সারির স্বত্তাধিকারী আবদুল হালিম বলেন, ইমন, সুজন, সোহাগ, রফিক এরা হঠাৎ আমি বাসায় যাওয়ার পথে আমাকে পথরুদ্ধ করে দাঁড়ায়। আমার ব্যাগে টাকা যা আছে তা দিতে বলে। আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ছিল। তারা হাতে ছুড়ি নিয়ে আমার দিকে আঘাত করার চেষ্টা করে। তখন চিৎকার শুনে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনিরুজ্জামান কাকা ও আমাদের মসজিদের দাহন ক্রিয়া করা সুলতান ভাই চলে আসেন এবং তাদেরকে বাধা প্রদান করে। তখনো তারা হুমকি প্রদান করে।
এলাকাবাসী না আসলে আমার উপর তারা আঘাত করত এবং বড় ধরনের ঘটনা ঘটত। আমি পানছড়ি থানায় অভিযোগটি জমা দিয়েছি। তারা যেকোনো সময় আমার উপর আবারও হালমা করতে পারে।
হামলার কারণ সূত্রে আরেকটি বিষয়ে তিনি বলেন, রফিক, সুজন এর পূর্বে মাদকের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয় এবং জেল বরণ করে।
তাদের ধারণা আমি তাদের ধরিয়ে দিয়েছি।
এই সময় তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনিরুজ্জামান বলেন,আ মি চিৎকার শুনে রাস্তায় বের হয়ে আসলে দেখি ভাগিনা আবদুল হালিমের উপর ইমন, সুজন, সোহাগ, রফিক সহ তারা নানা ধরনের গালাগাল করছে। আমি এসে তাদের বাধা দিলে তারা আমার কথাও শুনছে না। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিরুদ্ধে পানছড়ি থানায় একাধিক মামলা আছে বলে শুনেছিলাম। আর আমরা না আসলে গতকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেত।
পানছড়ি থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আনচারুল করিম বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই ও হামলার বিষয়ে একটা দরখাস্ত পেয়েছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।