সরওয়ার কামাল কক্সবাজার:
মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীর পাড়া ব্রীজটি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সংস্কার বিহীন হয়ে পড়েছে । প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে এ ব্রিজ দিয়ে। যানবাহন চলাচল করে শত শত। হাসপাতালে রোগী আনা নেওয়া খুবই কষ্টকর। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া দুঃসাধ্য। এটি মহেশখালী পৌরসভা ও বড়মহেশখালী ইউনিয়নের সংযোগ ব্রিজ হিসেবেও জনশ্রুতি রয়েছে। ব্রিজটি দীর্ঘ দিন অবহেলিত অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত দুই বছর আগে একবার টেন্ডার হয়। অদৃশ্য কারণে কাজ শুরু না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান চলে যায়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূল্যে ব্রিজটি পুনরায় টেন্ডার দেওয়া হয়। গত কয়েক মাস আগে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে এর তত্বাবধানে এ প্রকল্পের ঠিকাদার একরামুল হক কাজ শুরু করেন। কয়েকটি পাইলিং এর কাজ করে আবারো কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক ব্রিজটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিন মাসের মধ্যে ব্রিজের নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে। এই তিন মাসের এক মাস অতিবাহিত হলেও কোন কাজও পুনরায় শুরু করা হয়নি। এমনি মুহুর্তে গত কয়েক দিন আগে টানা প্রবল বর্ষণে ব্রিজটি ভাঙ্গনের কবলে পড়লে স্থানীয় তরুণ রাজনীতিবিদ ছোটমহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সাইফুল ইসলাম রায়হান ব্যক্তিগত ভাবে বাঁশ গাছ বেড়া ও মাটি ভরাট করে ভাঙ্গনের কিছুটা রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এই ব্রিজটির পাশে রয়েছে সিপাহীর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হোপ মেডিকেল সেন্টার। যদি ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করা না হয় তাহলে এই দুইটি প্রতিষ্ঠানও রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। ” চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদী আর সিপাহীর পাড়া বাসীর দুঃখ সিপাহীর পাড়া ব্রিজ।” এই একটি ছোট্ট ব্রিজ কোন অদৃশ্য কারণে এতোদিন কেন অবহেলায় পড়ে আছে তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়। স্থানীয় জনসাধারণ আবারও এ ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণে মহেশখালী- কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।