নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে গণটিকার অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার সকালে মুঠোফোনে আলাপকালে প্রতিবেদককে করোনা টিকার কেন্দ্র ও টিকা প্রদানের তথ্য বিবরণী সম্পর্কে জানালেন নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. নূয়েন খীসা।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৭ই আগষ্ট সকাল(শনিবার) ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পঞ্চাশোর্ধ নারী ও প্রতিবন্ধিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে টিকা প্রদান কার্যক্রম। প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে কেন্দ্র এবং প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে টিকার বুথ থাকবে। পূর্বে ১১তারিখ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র ৭ই আগষ্ট টিকা প্রদান করা হবে।
অপর প্রশ্নের জবাবে নূয়েন খীসা জানান, নানিয়ারচর উপজেলার ১নং সাবেক্ষং ইউনিয়নে মরাচেঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক, ২নং নানিয়ারচর ইউনিয়নের সাপমারা জুনিয়র স্কুল, ৩নং ইউনিয়নে বগাছড়ি পুর্নবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪নং ঘিলাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকবে করোনা গণটিকার কেন্দ্র।
এসময় নূয়েন খীসা আরো জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মানতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন করে মেডিকেল এসিসটেন্ট ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী থাকবেন। সাথে ৩জন করে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা প্রদানে সহায়তা করবেন বলেও জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
এদিকে কারা পাবেন করোনা টিকা এনিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ জনগণের মাঝে। স্থায়ী বাসিন্দারা মনে করছেন করোনা টিকা দিতে গিয়ে গণহারে আক্রান্তের সম্ভবনা বেড়ে যেতে পারে। সুতারং নির্ধারিত ভাবে করোনার টিকা দিলে আক্রান্তের সম্ভবনা কম হবে বলেও আশঙ্কা স্থানীয়দের।
নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব জানান, সরকার সারাদেশে করোনা টিকার ব্যবস্থা করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে সকলকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে বলেও আশাবাদী এই রাজনীতিবিদ।
এদিকে করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়ে ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে ২শত জন করে মোট জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। আমরা জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারণের মাঝে এই টিকা প্রদানে সহায়তা করে যাব। ৫০বছরের উপরে নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধিদের অগ্রাধিকার দিয়ে ২৫বছর পর্যন্ত সাধারণ জনগণ কিভাবে টিকা পেতে পারে ইউপি সদস্যগণ সেই দিক বিবেচনা করে এলাকাবাসীর মাঝে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
টিকা কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মালেকে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দেশনানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ জনগণ কিভাবে করোনা টিকা নিতে পারে আমরা সেই বিষয়ে প্রাধান্য দিয়েই কেন্দ্র প্রস্তুত করছি। জনপ্রতিনিধিরা বয়স ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারণকে টিকা পেতে কাজ করে যাচ্ছি।