রাঙামাটি নিউজ ডেস্কঃ(উথোয়াইচিং মারমা রনি)ঃ
সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীয্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সারাদেশের ন্যায় পালন করেছে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলায়।
জেলার প্রতিনিধিদের তথ্য মতে, আজ (২১জুলাই) ভোর ৭টা থেকে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন মসজিদ গুলোতে ঈদ জামাত করতে আসা মুসল্লীদের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। যা আসলে নজড় কাড়ার মতো। নামাজ শেষে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহ্ সন্তুষ্টি লাভের আশায় মোনাজাতে অংশ নেয় মুসল্লীরা।
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, সকালে জেলা শহরের প্রধান তিনটি মসজিদ ছাড়াও এলাকার মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান জামাত তবলছড়ি কেন্দ্রিয় মসজিদ, বনরুপা জামে মসজিদ, রির্জাভ বাজার জামে মসজিদ ও কালেক্টর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালেক্টর জামে মসজিদে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ও রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী উপস্থিত থেকে নামাজ আদায় করেছেন।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, সকাল ৭টায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে খাগড়াছড়ি কেন্দ্রিয় শাহী জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়া জেলা শহরের খোলা মাঠে বিশাল আকারে ঈদ-উল-আযহার আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি সভাপতি, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্ম-সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া শহরের পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, বাস টার্মিনাল জামে মসজিদ,সহ ২৯টি মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় বান্দরবান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ৮টা নাগাদ জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ গুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী সহ শত শত মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করে।
পরিশেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ আল্লাহ্ সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি দেন।