লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ডায়াবেটিক হাসাপতালের সামনে মিনি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৩রাউন্ড কাতুর্জ ডাকাতির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ২ ডাকাতকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এসময় মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম অভিমুখী ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরী ২টি বন্ধুক, ৩টি কাতুর্জ, ১টি করে দা, ছুরি, ক্রিস, তালা কাটার, সাবাল ও ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ডাকাতরা হল চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা গ্রামের চরপাড়ার লোকমান (৩০) ও কর্ণফুলী উপজেলার জুলদা এলাকার মামুন (৩০)।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়,৮/৯ জনের ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল পেকুয়া থেকে ডাকাতি কাজ ব্যর্থ হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে মিনি ট্রাক নিয়ে ডাকাতদল প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে লোহাগাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ডাকাতদল লোহাগাড়ার সীমানাস্হ চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কার্যালয় এলাকায় পৌঁছালে লোহাগাড়া থানা পুলিশের এসআই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখানে গাড়িকে সিগন্যাল দেয়। সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে আমিরাবাদ স্টেশনের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ পেছন দিয়ে ধাওয়া করে। চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পুলিশের আরেকটি টিম সিগন্যাল দিলে ডাকাতদল গাড়ি সহ দ্রুত গতিতে অমান্য করে চলে যায়। পরে লোহাগাড়া থানার সামনে সর্বোচ্চ ব্যারিকেড দিয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টিম বেরিকেড দিলে ডাকাতদল বেপরোয়া গতিতে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্ঠা করে। পেছনে আবার ধাওয়া হয়ে পুরাতন থানাস্হ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে গাড়ি থামিয়ে ২ ডাকাতকে আটক করা হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে মিনি ট্রাকের কেবিন হতে অস্ত্র, গুলিসহ ডাকাতির প্রয়োজনী সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এসময় বাকি ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল ইসলাম, এসআই গোলাম কিবরিয়া, এসআই সমশুদোহা, এসআই দুলাল বাড়ই ও এএসআই রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে মিনি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ন-১৯-৪২০০) গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৩রাউন্ড কাতুর্জ ডাকাতির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ২ ডাকাতকে আটক হয়। এব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অস্ত্র, পুলিশকে আঘাত ও ডাকাতি প্রস্তুতি আইনে পৃথক ৩টি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ৫জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জন। এজাহার নামীয় অপর ৩জনসহ অজ্ঞাতনামারা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামালা রয়েছে বলেও তিনি জানান।