রাস্তার সৃষ্ট একাধিক গর্ত আর কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার তিন নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া সড়কের বেহাল দশায় সড়কটি দিন দিন ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সে সাথে সংস্কারের অভাবের সড়কটির নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থা সামন্য বৃষ্টিতে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্ঠি করছে।
এতে সড়ক টি দিয়ে যানবাহন, এলাকাবাসী অসুস্থ রোগীদের চলা চলের চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হচ্ছে। বাঙালহালিয়াবাজার, চন্দ্রঘোনা, সুখবিলাস, রাজার হাট, রাজস্থলী, বান্দরবান, সরভভাটা,শিলক, চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এ সড়কের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষের যথাযত নজরদারির অভাবে সড়ক টি গত দুই বছর ধরে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে।
বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই সকাল ৮ টায় সরজমিন ঘুরে দেখাযায় সড়কটির অনেক অংশেই কার্পেটিং ও ইট উঠে খোয়া বের হয়ে গিয়েছে। রাস্তার সৃষ্ট গর্ত আর খানা খন্দের কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহনের পাশাপাশি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভরাট হয়ে গভীরতা কমে সড়কটির ড্রেনেজ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে দেখা মিলেছে জলবদ্ধতার। রাস্তায় সৃষ্ট একাধিক গর্তে জমে থাকা পানিতে পায়ে হেঁটে চলাচলকারীদের কাপড় নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ শরীর নিয়ে এমন রাস্তায় চলাচল করা বিরক্তকর আর কষ্টদায়ক। কাজলবড়ুয়া নামক এক স্থানীয়বাসিন্দা জানান, সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমান জলবদ্ধতা এই সড়কে এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসময় তারা সড়ক টি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান। বাঙালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অাক্ষ্যমং মারমা জানান, বিদ্যালয়ে যাওয়া অাসা চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন হাটবাজারে কলেজে সরকারি চাকরীজিবীরা চলাচল করে।
সড়কটির বেহাল দশার কারনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সামশুল আলম জানান, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে অবগত করা হয়েছে। তিনি আগামী অর্থবছরে বরাদ্ধ দেওয়ার আশ্বাস দেন। সড়কের বেহাল দশা নিয়ে কথা হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঞেমং মারমা জানান, পরিষদের সদস্যদের সাথে আলাপ করে এবার সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিডি বিভাগে আবেদন করা হবে। তবে দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।