সরওয়ার কামাল কক্সবাজার ঃ ৬ জুলাই
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ধলঘাটপাড়া এলাকায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো ২টি পরিবার প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করে সুখে বসবাস করে আসছিলো হাফেজ তারেক, কামরুন্নাহার দম্পতি। যৌথভাবে বসবাস করেছিলো পরিবারের সদস্য হাফেজ মৌলানা ঈসমাইল ও। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে ৫ই জুলাই সোমবার রাত ৯টার দিকে আগুনে পুড়ে ছাই হলো তাদের স্বপ্ন। তাদের চোখের সামনে পুড়ে গেলো সুন্দর সাজিয়ে রাখা আসবাবপত্র ভর্তি ঘর। পুড়ে ছাই হলো-নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র। দুই পরিবারেে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন। আগুন লাগার প্রায় ঘন্টাখানেক পর মহেশখালী সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আসলে ও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো বাড়িঘর। সরেজমিনে দেখাযায় চোখের সামনে পুড়ে যাওয়া ঘরের পাশে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা। ক্ষতিগ্রস্থ মৌলানা ঈসমাইল ও তারেকের চাচাতো ভাই বড় মহেশখালী দারুল কোরআন সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মৌলানা সিরাজুল হক রাসেল বলেন, বাড়ির বিদ্যুৎতের সর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরার খবর পেয়ে এলাকাবাসী প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও নিভানো সম্ভব হয়নি, পুুড়ে সব শেষ বাড়ী থেকে কিছুই বের করতে পারিনি। পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক হাফেজ মৌলানা ঈসমাইল বলেন, হঠাৎ করে দেখতে পাই বাড়িতে আগুন, কিছু বুুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। কোন জিনিস বাড়ি থেকে বের করতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে সব শেষ।
তিনি জানান, ৩ভরি স্বর্ণ,নগদ ৫ লক্ষ টাকা সহ আনুুমানিক ১০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা পথে বসার ছাড়া কোন উপায় নেই বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান,বিদ্যুৎ থেকে আগুুনের সূত্রপাত। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায় তবে আশে পাশের কোথাও পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা বিলম্বিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল কবির বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম ২ জনের পরিবার আগুুনে পুড়ে সব শেষ। বাড়ি থেকে কিছুই বের করতে পারিনি তারা অসহায় গরীব আমি নিজেই এবং প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
সরওয়ার কামাল কক্সবাজার জেলা
০১৮৪৩৯১৯০৮৮