সারা বাংলাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৪৫২ জন সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জুন বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০০৭১.১২.০০১.২১-৩৬৯ মোতাবেক সরাসরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিপূর্বক প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নতি করা হয়। পদমর্যাদা পাশাপাশি বেতনের তারতম্য ঘটেছে।
আগে যেখানে সহকারী শিক্ষকগণ ১০ম গ্রেডে বেতন পেতেন, এখন সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় ৯ম গ্রেডে বেতন ভোগ করবেন। অবশ্য বর্তমান কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষক টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পাননি তারা ৯ম দশম বা ১০ম গ্রেডে বেতন ভোগ করতেছেন। সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি হওয়ায়,সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক এবার থেকে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা পদোন্নতি পাবেন। আগে প্রথম শ্রেণির পদোন্নতির পদ কম থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষকের সহকারী শিক্ষকের সহকারী শিক্ষক থেকে অবসর গ্রহণ করতে হতো কারণ আগে সহকারী শিক্ষকের পদন্নোতির পদ ছিল সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার। আর সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার কিন্তু এসব পদে পদসংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে অধিকাংশ শিক্ষকের এসব পদে পদোন্নতি সুযোগ হতোনা।
এখন মোট পদের ৫০% পদ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় সিনিয়র শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হওয়াতে এবার থেকে সহকারী শিক্ষকরা পর্যায়ক্রমে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।
এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃমাহবুব হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী নানা জটিলতার পর জ্যোষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।পদোন্নতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা এখন থেকে ৯ম গ্রেড বা প্রথম শ্রেণির গ্রেডে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন ।
তথ্যমতে ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় সংশোধনী এনে সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়।তার আলোকে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে গ্রেডেশন অনুযায়ী ৭২৭৫ জনের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।তার ভিত্তিতে ৫৪৫২ জনকে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
সহকারী শিক্ষকদের কাজের গতি বাড়াতে ও তাদের আরও দায়িত্বশীল করে তুলতে এ ধরনের পদোন্নতি খুবই ইতিবাচক কাজ দেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দরা।
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী আদনান বলেন, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের মাঝে এ পদোন্নতি অানন্দের উপলক্ষ এনে দিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। অাশাকরি গ্রেডেশন লিস্টে থাকা ২০১০-২০১১ সালের অবশিষ্ট শিক্ষকগণও অচিরেই পদোন্নতি পাবেন।