আজগর আলী খান,রাজস্থলী প্রতিনিধি :
সাতদিনের সরকারি ‘বিধি-নিষেধ বা কঠোর ‘লকডাউন’ এর ২য় দিন রাজস্থলী বাজার, বাঙালহালিয়া বাজার, আশ পাশের বন্ধ ছিল দোকানপাট, সড়ক ছিল যানবাহন শূন্য। লকডাউন কার্যকরে বিভিন্ন হাট-বাজার, সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালিয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) অভিযানকালে আইন অমান্য করে ঘর থেকে বের হওয়ায় হোটেল খুলে ভিতরে খাবার বিক্রি করায় জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিন সকাল থেকে রাজস্থলী চন্দ্রঘোনা সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বন্ধ ছিল সবধরণের যানবাহন। তবে কিছু মালবাহী গাড়ী, ব্যাটারী চালিত রিকশা, কিছু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। মুদির দোকান ও বেকারী খোলা থাকলেও হোটেল রেস্টুরেন্ট, শপিংমল বন্ধ ছিল। মানুষের চলাচলও অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকটা কম লক্ষ্য করা যায়।
দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের টহল চলাকালে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল অাহমদ খান। এসময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের একাধিক ভ্রাম্যমাণ টহল টিম মাঠ পর্যায়ে লকডাউন কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ ছাদেক। তিনি উপজেলার ইসলামপুর, বাঙালহালিয়া, রাজস্থলী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। এসময় আইন অমান্য করে ঘর থেকে বের হওয়ায় ও হোটেলে খাবার বিক্রি করার দায়ে টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
এসময় জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক বলেন,অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ‘বিধিনিষেধের’ সময় বাড়ির বাইরে গেলেই গ্রেফতার করা হবে। অভিযান চলাকালে জনগণকে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।