llটুয়েল চাকমাllনানিয়ারচর প্রতিনিধি ll
রাংগামাটি জেলা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের লিলা ভুমি,এই জেলার একটি বিশেষ উপজেলা নানিয়ারচর।এই উপজেলার বুড়িঘাট চেঙ্গি নদীর মাঝ পাহাড়ে চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে সাত বীর শ্রেষ্ঠর এক জন। বীর শ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আঃরউফ।যে কারনে বাংলার মানুষ নানিয়ারচর উপজেলার কথা মনে রাখে, তার পরেও নানিয়ারচর উপজেলা আনারসের জন্য বিক্ষাত।
নানিয়ারচর উপজেলার আনারস সারা বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে,কিন্তু আনারস চাষিরা আছে বিপাকে,কারন তারা পাচ্ছেনা কোন সরকারী অনুদান বা প্রশিক্ষণ , এলাকার আনারস চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,সরকারী ভাবে যদি তারা কোন সহোযোগিতা পাচ্ছেনা।
বুড়িঘাট,বগাছড়ি,ইসলামপুর,বেতছড়ি,ঘিলাছড়ি,সাবেকক্ষন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন চাষিদের সাথে কথা বলে তারা জানিয়েছেন,আনারস চাষী মোঃ জাকির হোসেন জানিয়েছেন,তারা প্রশিক্ষণ বিহীন আনারস লাগায় এতে তাদের ফলন কম হয়, যদি সরকার মাঠ পর্যায়ে আনারস চাষের উপর পশিক্ষন এর ব্যাবস্থা করতো তা হলে তারা শত ভাগ ফলন পাওয়া যেত।
এছাড়া সরকারী ভাবে যদি আনারস চাষিদের কৃষি লোনের ব্যাবস্থা করা হত আনারস চাষিরা আরো এগিয়ে যেতো, আরেক আনারস চাষী মোঃ ডাবলুর রহমান তিনি বলেন,আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আনারস চাষ করি কিন্তু নানিয়ারচর উপজেলায় আনারস সংরক্ষণের কোন ব্যাবস্থা নেই,সরকার আনারস সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করতো,তাহলে এলাকার চাষিরা উপকৃত হত,এলাকার আনারস চাষীদের দাবী স্থানিয় প্রশাসন সহ সকলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সরকার আনারস চাষিদের কৃষি ঋন ও ভালো প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করে তাহলে নানিয়ারচর উপজেলার সকল আনারস চাষিরা সামনে এগিয়ে যাবে এটাই বিশ্বাস।