নিউজ ডেস্কঃ
ঈদ সামনে রেখে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়াছে বাংলাদেশ বাস, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। কর্মকর্তা কর্মচারী শ্রমিকদের ঈদের বেতন-ভাতা পরিশোধসহ পাচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২৯-এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলীর বাগবাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ।
তিনি বলেন, প্রতিদিন কম পক্ষে ২ কোটি যাত্রী গণপরিবহনে সড়ক পথে যাতায়াত করে থাকে। করোনা সংক্রমন রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনে মালিক শ্রমিক কর্মচারী বৃন্দের পরিবার পরিজন নিয়ে এক মানবেতার জীবন যাপন করছে। রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন,লকডাউনে গণপরিবহন সহ বন্ধ থাকলেও পরিবহন পরিচালনার সংশ্লিষ্ট ব্যয় চলমান রয়েছে। যেমন,কাউন্টার ভাড়া,গ্যারেজ ভাড়া,স্টাফ বেতন,পাকিং চার্জ, গাড়ি পাহাড়া,ও পার্টস ড্যামেজ,সব মিলিয়ে দৈনিক প্রতিটি কোম্পানী বড় অংকের ক্ষতির সম্মাখীন হচ্ছে। গত বছর ৯০ দিনে লকডাউনে টাকার ক্ষতি হয়, যা পরিবহন মালিকরা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারনি।
তিনি আরো বলেন,বেশীর ভাগ কর্মার্শিয়াল যানবাহন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋনের বোঝা পরিবহন মালিকদের নিকট, করোনা সংক্রমনের ভয়ের চেয়ে বড় হযে উঠেছে। অনেক পরিবহন মালিক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গণপরিবহন খাতের জন্য চার দফা দাবি উর্খাপণ করেন রমেশ চন্দ্র।
প্রসঙ্গত, করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। পড়ে এ নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারী বেসরকারী অফিস, শিল্পকারখানা গণপরিবহন চালু ছিল। এর পর সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে যায, যাতে বন্ধ ছিল গণপরিবহন এবং দোকানপাট। সরকারে সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৫ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকছে।