বিশেষ প্রতিবেদক,কক্সবাজার:
চেহারা বেশভুষা,চালচলনে কেউ বিশ্বাস করবেনা নিষিদ্ধ ব্যবসায় জড়িত এরা।চালচলন আর আচরণের মধ্যে তার চলাফেরা সীমাবদ্ধ নেই। তাঁর রয়েছে ক্যাম্প ভিত্তিক বিশাল ইয়াবা কারবারের সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটে কুতুপালং এলাকার ইয়াবা গডফাদার ছাড়াও রয়েছে রোহিঙ্গা ইয়াবা গডফাদার এবং দেশের বিভিন্ন জায়গার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিও।বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও,জামিনে বেরিয়ে আসতে সময় বেশী যায় না।আটক হয়ে জেলে গেলেও,বের হয়ে আসাটা মামুলী ব্যাপার।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বাণিজ্য থেমে নেই।নিত্য নতুন রুট পরিবর্তনের মাধ্যমে কুতুপালং এলাকার ইয়াবা কারবারিরা তাদের ব্যবসা জিইয়ে রেখেছে। ক্যাম্পে থাকা মিয়ানমারের ইয়াবা গডফাদারদের সাথে জেল থেকে ফিরে যোগ দিয়েছে পুরানো গডফাদাররা।সৃষ্টি হয়েছে নতুন গডফাদার ,এদের সিন্ডিকেটে চলছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য।পাশাপাশি ক্যাম্প ভিত্তিক রোহিঙ্গা রমণী সরবরাহ,বিদেশে মানব পাচার,মিয়ানমার ভিত্তিক চোরাচালান সহ বহুমুখী অপকর্ম চালিয়ে বুক ফুলিয়ে বীরদর্পে ঘুরছে সিন্ডিকেটগুলো।
জানা যায়, মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে আসা রোহিঙ্গা গডফাদারদের সাথে যুক্ত হয়ে উখিয়ার কুতুপালং এলাকার শীর্ষ ইয়াবা গডফাদাররা তাদের বহুমুখী
অবৈধ কারবার চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের হাতে অধরাই রয়ে গেছে। বিশেষ করে কুতুপালং এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । অনেকে ইতিপূর্বেও ইয়াবা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছে। ছয় মাস জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে ফের জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা বানিজ্য।ইয়াবার সাম্রাজ্যে স্থানীয় প্রশাসনের আছঁড় না লাগাই দিন- দিন তার অবৈধ কর্মকান্ড বিস্তৃত হচ্ছে।এক সময়ের দিনমজুর কামলা থেকে নিষিদ্ধ ব্যবসার বদৌলতে হোটেল,বাড়ী,ক্যাম্প ভিত্তিক ব্যবসা সহ কোটি-কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনেছেন।এসব ব্যবসার বৈধতা না থাকায় সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দেবেন কি? তা স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবীতে পরিণত হচ্ছে।গোপনভাবে তথ্যের ভিত্তি নিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করলে নিষিদ্ধ ইয়াবা কারবার সহ বহুমুখী অপকর্মের অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন,আমি যোগদান করার পর থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যারা চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।