নানিয়ারচর(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি:
লাগাতার বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহািড় ঢল প্রভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে নানিয়ারচর কিছু বাড়িঘর,কৃষিক্ষেত,রাস্তাঘাট।
গত একসপ্তাহ থেকে থেকে প্রচণ্ড মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় প্লাবিত হয়েছে নানিয়ারচর উপজেলার কিছু নিম্ন অঞ্চল।
উপজেলার বুড়িঘাটের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষনে পাহাড় ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে,গত এক সপ্তাহ যাবত বৃষ্টিতে বেকার অবস্থায় আছি। এই বৃষ্টিতে কর্মহীন ভাবে কাটছে।এলাকার সকলের একই অবস্থা,অনেকেই ঋণ করে ব্যবসা বানিজ্য চালাচ্ছেন,গত এক সপ্তাহ যাবত ভারি বৃষ্টিতে সকলেই কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি দিতে পারবে বলে মনে হয় না।বৃষ্টিতে অনেকেই অসহায় অবস্থায় আছেন। কতৃপক্ষ চাইলে এক সপ্তাহ কিস্তি আদায় বন্ধ করলে অসহায় মানুষ গুলো উপকৃত হবে।
পাহাড় ধ্বস ও পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি,সাবেক্ষন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পাহাড় ধ্বসে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উৎপাদিত ফসলের।
এদিকে পাহাড় ধসে যাতে যান চলাচল বিঘ্নিত না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান।সরজমিনে ঘুরে ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। খোজ রাখছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। তিনি গনমাধ্যমকে জানান দল মত নির্বিশেষে দূর্যোগকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
এদিকে,ঘিলাছড়ি – বুড়িঘাট সড়কের বলির বাগান,কুটির শিল্প এলাকায় পাহাড় ধস হয়েছে। এলাকার সেচ্ছাসেবক ও আনসার ও ভিডিপির সদস্যদের রাস্তা পরিস্কারে কাজ করতে দেখা গেছে।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর জানান,পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে “সংকট মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে,ত্রান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়নে নয়টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে,এগুলো হচ্ছে নানিয়ারচর মডেল স:প্রা:বি,বগাছড়ি পুনর্বাসন স:প্রা:বি,বুড়িঘাট বাজার স:প্রা:বি,ঘিলাছড়ি স:প্রা:বি,উচ্চ কেংগালছড়ি স:প্রা:বি,গর্জনতলী স:প্রা:বি,বড়পুল পাড়া স:প্রা:বি,চন্দ্রসেন মহাজন পাড়া স:প্রা:বি,বুড়িঘাট পূনর্বাসন স:প্রা:বি। তবে এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কাউকে আশ্রয় গ্রহনে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের তৈচাকমা ও রাঙ্গিপাড়ার নিম্ন অঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।পানিবন্দি রয়েছে আনুমানিক ১৫- ২০টি পরিবার।উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির টিমকে দূর্যোগ মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সর্বস্থরের জনসাধারণ।
এছাড়া দূর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে আনসার ও ভিডিপি তৎক্ষণাৎ পাহাড় ধ্বসে রাস্তা সংস্কারে সাহায্য করাতে এলাকাবাসী খুশি হয়েছেন।