লংগদু প্রতিনিধি
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার বাইট্টাপাড়া তিনটিলা এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম জাবেদ ও আনোয়ারা দম্পতির মেয়ে কলেজ ছাত্রী জেসমিন আক্তার (১৯) নিজ বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আলোচিত ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভিকটিম জেসমিন আক্তারের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রতিবেশী প্রেমিক ফরহাদকে আটক করেছে লংগদু থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, ফরহাদ লংগদু সদর ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া তিনটিলা এলাকার একই গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।
লংগদু থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর তথ্যমতে, ফরহাদ ও জেসমিন দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল। ফোন কলের সূত্র ধরে জানা যায়, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও ছেলে মেয়ে একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটি আত্মহত্যা করে।
এসূত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ অভিযান পরিচালনা করে ফরহাদকে গ্রেফতার করেন।
জেসমিনের মা বলেন, প্রতিবেশী ফরহাদ প্রায় সময় আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাবের নামে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতো। এসব বিষয়ে ছেলের পরিবারকেও বার বার বলা হলেও তারা কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি। মৃত্যুর আগেও আমার মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলে ফরহাদ। তখন আমি বাসায় ছিলাম না। বাসায় এসে দেখি আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। প্রশাসনের মাধ্যমে আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে মোবাইল ফোনের তথ্য ও পরিবার এবং এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যমতে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা উঠে আসে। পরবর্তীতে মেয়ের মা বাদী হয়ে লংগদু থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তার ভিত্তিতে ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ভিকটিমের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে প্রেমিক ফরহাদকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৪ জুন) লংগদু ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া তিনটিলা এলাকায় নিজ বসতঘরে পরিবারের অজান্তে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় জেসমিন। সে লংগদু কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।