আউলিয়ায়ে কেরামের দিকনির্দেশনা,আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর মৌলিক দিকনির্দেশনার যুগোপযোগী প্রতিফলন মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারী বলেছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে গাউছিয়া হক মনজিলে হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (ক.) প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারীর মহান ২২ চৈত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মিলাদ কিয়াম শেষে আখেরি মোনাজাতে তিনি একথা বলেন।
নিজেদের দোষে মুসলিম উম্মাহ যে দুর্দশা,যে পরীক্ষায় নিপতিত হয়েছে আল্লাহ-আল্লাহর পেয়ারা হাবিবের (সা.) সেই দিকনির্দেশনা নীতি-আদর্শ অনুসরণ করে উম্মাহ যাতে এই দুর্দশা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে তার জন্যে তিনি আল্লাহর দরবারে আকুল ফরিয়াদ করেন।
তিনি বিশ্বমানবতার ও বিশ্ব মজলুমের মুক্তি কামনা করে আল্লাহ সুবহানাহু-তাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।যারা যেখানে মজলুম হয়েছেন সকলে যাতে সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন তার জন্যে তিনি আল্লাহর অবারিত রহমত কামনা করেন।এছাড়া সবর শোকর জিকিরের ভিতর দিয়ে সকলে যাতে দুনিয়াবী সকল সংকট মোকাবিলা করতে পারে সেই তৌফিক কামনা করেন।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ধনী-গরীব-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যারা মহান ২২ চৈত্র ওরশ মোবারকে উপস্থিত হয়েছেন এবং উপস্থিত না থাকলেও দূর দূরান্ত হতে নিজেদের অন্তরকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছেন সকলের শান্তিময়,বরকতময় একটি সম্মানের জিন্দেগী সকলকে মঞ্জুরের জন্যে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।
তিনি বাংলাদেশকে সমস্ত রকমের আসমানী-জমিনী বালা মুসিবত থেকে,নানান ধরনের জটিলতা থেকে,সংঘাত থেকে হেফাজত করার জন্য ফরিয়াদ করেন।বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে কবুল করার জন্য ফরিয়াদ জানান।
পবিত্র ওরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বাদ এশা ও তারাবীহ নামাজের পর বায়াত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বায়াত প্রদান করেন ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারী-র প্রবর্তক গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)-র প্র-প্রপৌত্র,গাউসিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (মা.)।