হরর মুভি’র মতো বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলতেছে এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ বলেন,হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় যে,দৈত্য মানুষ পোড়ায়,আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়।বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে,মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে,জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে,তারাই তো দৈত্য।হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট,আর কাউকে লাগবে না।যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোন সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি,এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি।বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।অনেক পণ্যের দামও কমেছে।
বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশী সহযোগীতা নিয়ে ব্যাংক লুঠ, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন,তাদের সাথে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পাশ্ববর্তী দেশে যারা ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।
দেখুন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন,নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আমাদের প্রচেষ্ঠা আছে, সর্বমূখী প্রচেষ্ঠা পরিচালনা করা হচ্ছে।যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে, নাবিকরা ভালো আছে।তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে।যেহেতু আলোচনা অনেকদুর এগিয়েছে,আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।
তিনি বলেন,সেই জাহাজের আশেপাশে বিদেশী জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের উপর নানামূখী চাপও রয়েছে।আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়।তবে এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকুরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোন ছুটি হয়না।তারা যায় ছয়মাস কিংবা এক বছরের জন্য।এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিল না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন,কিছু অসাধু ব্যবসায়ি এবং মজুদদার চেষ্ঠা করেছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য।এবং সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক।ঈদকে সামনে রেখেও সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়।সেটিকেও কঠোরহস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন,এইক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভুমিকা রয়েছে।আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব,রমজানের সময় যে বাজার মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে,এবং কিছু কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে,সেটিও প্রচার করা দরকার।কোন পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়,কোন কোন পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।