হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, রাজস্থলীঃ
মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস মাহে রমজান মাস। আর এই মাসকে সামনে রেখে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভিন্ন খাবারের প্রতি আলাদা চাহিদা থাকে।
সেহরী এবং ইফতারকে সামনে রেখে সকলেই বিশুদ্ধ এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রতি মনোযোগ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে খেজুরের (এটি খাওয়া সুন্নাত) পাশাপাশি কলার চাহিদাও বেড়ে যায় অনেক। সারা দেশের খেজুরের চাহিদা পূরণ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর সারা দেশের কলার চাহিদা পূরণ করার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের কলাই অন্যতম প্রধান ভরসা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের সকল বাঙ্গালী এবং উপজাতি কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি কলা চাষ করে থাকে। সারা বছর উৎপাদনের পাশাপাশি রমজানের কলার চাহিদা পূরণে তারা রমজান মাসকেই বেশি প্রাধান্য দেয় কলা উৎপাদনের জন্য যাতে বেশ লাভেই কলা বিক্রয় করা যায়। রমজানের কলার এই প্রচুর চাহিদা পূরণে ক্রেতারা বেশ চড়া দামেই কৃষকদের নিকট থেকে কলা ক্রয় করে থাকে৷
রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন বাজারের হাটের দিন প্রচুর পরিমাণে কলার যোগান হয়ে থাকে। যা ক্রয় করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা ভিড় করতে থাকে। এরই সুবাদে প্রতিটি কলার কান্দির দাম প্রতিযোগিতামুলক বেড়ে যায়। ফলে কলার চাষিরা অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে কয়েকগুন বেশি দাম পায়।
কয়েকজন কলা চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য সময়ের চেয়ে তারা এই মাসে কলার দাম অনেক বেশি পায়। যেই কলার কান্দির দাম অন্যান্য মাসে ৪০০-৫০০ টাকা সেই একই কান্দি রমজান মাসে ৮০০-১০০০ টাকারও বেশি পাওয়া যায়। এর কারণে তারা এই মাসে বেশি কলা বাজারে বিক্রয় করতে নিয়ে আসে।
রাজস্থলী উপজেলার একজন কলা ব্যবসায়ী নুর ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এই মাসে সারা দেশে কলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেশ চড়া দাম দিয়েই আমাদের কলা ক্রয় করতে হয়। স্বাভাবিকভাবে এক এক কান্দি কলার দাম এই মাসে কয়েকগুণ বেড়ে যায়।