আরিফুল ইসলাম সিকদার
নতুন বছরের প্রথম দিন বরকল উপজেলাতে উৎসবের মধ্য দিয়ে খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই দেওয়া হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আনন্দে খুশি অভিভাবকরা।
বরকল উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়সহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক পরিচালিত গণশিক্ষার শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেতে শীতকে উপেক্ষা করে সকাল সকাল স্কুলে উপস্থিত হন । ১০টায় বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও অনেক আগেই স্কুলে উপস্থিত হন তারা। বই বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পর মুহূর্তেই নতুন বইয়ের গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বুকের সঙ্গে দুই হাত দিয়ে নতুন বইগুলো জড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আয়ান শাহরিয়ার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বই পাব সেই টেনশনে রাতে ঠিকভাবে ঘুমোতে পারিনি। বই নিতে সকাল সকাল মাকে নিয়ে এসেছি। বই পেয়ে আমার অনেক আনন্দ লাগছে। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বই পড়া শুরু করব,নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিক্ষার্থীদের মাতোয়ারা হতে দেখা গেছে। সবাই মেতে উঠেছেন নতুন বইয়ে।
শিক্ষাকে মানসম্মত করা এবং ঝরে পড়ার হার রোধ করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবছর ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ করে আসছে।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের তাদের মাতৃভাষায় অধ্যায়নের জন্য চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো এবং সাদরি ভাষার বই বিতরণের পাশাপাশি অন্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বই বিতরণ করছে।
গতকাল রোববার সকালে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আজ সোমবার থেকে সারাদেশে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।
এনসিটিবি সূত্রমতে, এবার সারা দেশে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজারের মতো নতুন বই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে বই ৯ কোটি ৩৮ লাখের বেশি এবং মাধ্যমিক স্তরের বই ২১ কোটি ৩২ লাখের বেশি। প্রাথমিকের সব বই ছাপা হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকের সব বই ছাপা শেষ হয়নি।
অষ্টম ও নবম শ্রেণির মোট ১০ কোটির কিছু বেশি বইয়ের মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি বই গতকাল রোববার বছরের শেষ দিনেও ছাপা শেষ হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই (পুরো সেট) হাতে পাচ্ছে না। তারা বছরের প্রথম দিনে কয়েকটি করে নতুন বই পাচ্ছে।