মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টকে এক সেনা অভ্যুত্থানে আটক করা হয়
এনএলডির মুখপাত্র মিয়ো নিয়ান্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে জানান, অং সান সু চি ও তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে তাড়াহুড়ো করে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখাতে বলছি ও তাঁরা যেন আইন মেনে চলেন।’ নিজেও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর সঙ্গে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি।
এদীকে,
মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচিসহ আটক নেতাদের মুক্তি দিতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে অভ্যুন্থান নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমারের সম্প্রতি নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন বা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে আমেরিকা বিরোধিতা করে। যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এদীকে,
অং সান সুচির এনএলডি গত ৮ই নভেম্বরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়েই সু চিকে গ্রেফতার করা হলো।
নেটব্লকস নামের এক নাগরিক সংগঠন বলছে, স্থানীয় সময় আজ ভোররাতে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হয়। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে সু চিকে আটকের অনেক খবর জানা যাচ্ছে না।
এনএলডির মুখপাত্র মিয়ো নিয়ান্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে জানান, অং সান সু চি ও তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে তাড়াহুড়ো করে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখাতে বলছি ও তাঁরা যেন আইন মেনে চলেন।’ নিজেও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর সঙ্গে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি।
শীর্ষ বেসামরিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিয়ানমারের সামরিক টেলিভিশন চ্যানেলের খবর দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারির কথা নিশ্চিত করেছে।
২০১১ সালে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটার আগ পর্যন্ত দেশটিতে ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরে দেশটিতে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে জিতে পুনরায় সরকার গঠন করে সু চির এনএলডি। তবে সেনাবাহিনী নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্পণ করতে যাচ্ছে। সকাল থেকে রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াংগুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল শুরু করেছে সেনারা।
সূত্র-ঢাকা২৪.কম