ছবি- আহত যুবলীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন
সুজন ভট্টাচার্যঃ বান্দরবানের লামায় উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মো:আলা উদ্দীন (৩৬) এর উপর(২৭ জানুয়ারি)২০২৩ ইং শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিল্মী স্টাইলে হামলার ঘটনায় মো: ওসমান গনি (৪৬) বাদী হয়ে লামা পৌর যুব লীগের সভাপতি মো:সাইদুর রহমান (৩৫),ও সি: সহ সভাপতি মো: রফিক (৩৪) সহ ২/৩ জন কে অজ্ঞাত নামা আসামী করে (২৯ জানুয়ারি) লামা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা নং-১০ এর ১৪৩/৪৪৮/ ৩২৩/ ৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দীনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে গত (২৭ জানুয়ারি) লামা বাজারস্থ হোটেল সী হিলের অফিস কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় অর্তকিত ভাবে অভিযুক্ত মো:সাইদুর রহমান ও রফিক সরকার সহ তাদের সহযোগি ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্র ও কিল ঘুষি দিয়ে ভুক্তভোগী আলাউদ্দীন কে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজন লামা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন উক্ত হামলার ঘটনায় সী হিলের বিভিন্ন আসবাব পত্র ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার লামা উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক মো: আলা উদ্দিন বলেন,লামায়( ৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আয়োজিত (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪ ঘটিকায় দলীয় প্রস্তুতি সভায় পৌর মেয়র জহিরুল ইসলামের সাথে আমার মতানৈক্য হয়। পরবর্তীতে যেতেতু আমি বয়সে ছোট তাই ওনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
প্রস্তুতি সভা শেষে বের হওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে মুটোফোনে হুমকি প্রদান করে কল আসছিল। তখন আতংকিত হয়ে এই বিষয়টি উপজেলা ও জেলার বেশ কয়েকজন দলীয় নেতৃবৃন্দ কে অবগত করি। তাদের পরামর্শে লামা বাজারস্থ হোটেল সী হিলের অফিস। কক্ষে অবস্থান করি। ঐই দিন (সন্ধ্যা ০৫ টা) নাগাদ অর্তকিত ভাবে লামা পৌর যুবলীগের সভাপতি সাঈদুল ইসলাম সহ তার ৪-৫ জন সহযোগি নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল ঘুষি ও দেশীয় অস্ত্র রড দিয়ে জখম করে আহত করে। আমার আত্নচিৎকার শুনে লোকজন জড়ো হলে আহত অবস্থায় আমাকে ফেঁলে পালিয়ে যায়। মুর্মুষ অবস্থায় স্থানীয়রা লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলা উদ্দিনের আপন ছোট ভাইয়ের ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডি সহ বেশ কিছু আইডি থেকে দাবী করা হয়। পুরো ঘটনাটি আসলে লামা পৌর মেয়র মো: জহিরুল ইসলামের প্রত্যেক্ষ নির্দেশে তার ফুফাতো ভাই ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান এবং মেয়রের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সোহেল সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন আমার বড় ভাই আলা উদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করে।
এই বিষয়ে লামা পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, একটি পক্ষ আমার সফলতায় ঈশ্বানিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে গুজব ও প্রপাগন্ডা ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। হামলার শিকার আলা উদ্দীন এর সাথে ব্যক্তিগত,পারিবারিক ও দলীয় ভাবে কোন ধরনের বিরোধ ইতিপূর্বে ছিল না এবং বর্তমানে ও নেই।
মামলায় অভিযুক্ত মোঃ সাঈদুর রহমান বলেন,ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আলা উদ্দীনের গায়ে হাত তোলার ব্যাপার টি সঠিক,তবে এটি দলীয় ফোরামে সমাধান হয়ে যাবে। ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা যুব-লীগের সভাপতি কেলু মং মার্মা থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনাটি শুনেছি তবে এই বিষয়ে আমাদের কাছে রাজনৈতিক ভাবে কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি।অভিযোগ পেলে যাচাই করে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো:শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মামলার সত্যতা নিশ্চিত বলেন,গত (২৯ জানুয়ারি) রবিবার এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত নই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তিনি এই প্রতিবেদক কে ধন্যবাদ দিয়ে এই ঘটনার তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উক্ত হামলার ঘটনার যাচাই পূর্বক সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন।